ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Saturday, September 30, 2017

কথা

কথার মালা গা‌থি আ‌মি
ভাবের সু‌তো দি‌য়ে
গাথ‌তে গি‌য়ে দে‌খি আমার
কথা যায় ফু‌রি‌য়ে।

দুঃখ, সুখ, প্রেম, বিরহ
আনন্দ, ভা‌লোবাসা
প্রকৃ‌তি, মানুষ, পশু, পা‌খি
আশা আর হতাশা।

কথা দি‌য়ে প্রকাশ পায় যে
ম‌নের দুঃখ ভাব
কথায় কথায় ভে‌ষে উ‌ঠে
কার কি‌সের অভাব।

কথা হ‌লো জীব‌নের আয়না
সব দেখা যায় তা‌তে
দুঃখ, সুখ যায় যে ধরা
কথারই আয়না‌তে।

কথার অ‌নেক শ‌ক্তি আ‌ছে
কথার আ‌ছে বল
কথার গাছ‌টি ভা‌লো হ‌লে
ফ‌লে ভাল ফল।

সকল কথা ফু‌রি‌য়ে গে‌লে
কই জীব‌নের কথা
ভাবের সু‌তোয় গা‌থি তখন
‌প্রেম বির‌হ গাথা।

Thursday, September 28, 2017

ইচ্ছে


ইচ্ছে করে আকাশে উড়ি
দেখি, নেই যে ডানা
মনের পাখা মেলে দিলে
উড়তে তো নেই মানা।
ডানার জোরে যায় না উড়া
উড়ে মনের জোরে
পাহারও ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায়
প্রবল মনের তোরে।

ইচ্ছেতেই উপায় হয়
আলসেমীতে হয় অনিচ্ছা
সময়ের কাজ সময়ে কর
শুনেছি কত কিচ্ছা!
ভাল কাজে মন দাও
মন্দ হতে দূরে
ভালো কথা গুণিজনে
শুধায় একই সুরে।

থাকলে মনে সৎ চিন্তা
সাফল্য আসে হাতে
সময়ের কাজ সময়ে করলে
সবই হয় সাথে সাথে।
ইচ্ছেটাকে লাগাও কাজে
কোরো না হেলা ফেলা
সেময়টাকে কাজে লাগাও
ডুবার আগে বেলা।

খন্ড খন্ড 3


১।
আমি হবো দেবদাস
হবে তুমি পারু?
পারবে না হতে তাই
ছারি না যে দারু।
২।
লাইলি এসেছে
মজনু আখি খোল
বাসন মাজা শেষ
ঘর ঝাডুর সময় হলো।
৩।
প্রেমের মরা
ডোবে না জলে
ডোবে ঠিকই
পচা শেষ হলে!
৪।
ভালোবাসার সময়
কোন দিকে চায় না
অন্ধের মত বাসে তাই
চোখ খুলে আর পায় না!
৫।
স্বর্গ থেকে আসে প্রেম
স্বর্গে যায় চলে
দুজনে পুড়ি দোজখে
বিচ্ছেদ হলে।

শারদীয়

শী‌তের আগমনী, ভোর রা‌তে শীর শীর ধ্বণী
গ্রী‌ষ্মের বিদ‌ায়, প্রচন্ড গর‌মে প্রাণ যায় যায়।
রীতুর আসা~যাওয়া, খাই অসু‌খের ধাওয়া
ভূগী ঠান্ডা~জ্ব‌রে, এই ম‌রে সেই ম‌রে
‌ছোয়া‌চের মত ক‌রে, ঘ‌রের সবাই‌কে ধ‌রে
‌ছোটাছু‌টি দিক‌বি‌দিক, সাত দি‌নে হ‌বে ঠিক।

এত কিছুরও প‌রে
রু‌পের ‌যে আভা ঝ‌রে
বালুর মাঠ, নদীর পাড়
‌বিস্তীর্ণ কাশব‌নের ঝাড়
সাদা ফু‌লে মে‌ঘের রুপ
ই‌চ্ছে ক‌রে দেই যে ডুব
শারদীয় আব‌হ
রুপ যে ভয়াবহ
জুড়ায় আমার প্রাণ
কে‌টে যায় বিরহ।
দূর থে‌কে কাশবন ঘন দে‌খি কত
এর মা‌ঝে ফাকা আ‌ছে হৃদ‌য়েরই মত
‌রোদ শু‌ষে রেশ‌মি হ‌য়ে‌ছে যে ফুল
হঠাৎ বাতা‌শে সে‌ যে হারায় এ কুল
নানা রু‌পে প্রকৃ‌তি, আ‌সে না‌কো নি‌তে
রুপ, রস, গন্ধ, আসে সে‌ যে দি‌তে।
প্রকৃ‌তির মত ক‌রে ভা‌লোবা‌সে কে?
আর কেউ নয়, তুমিই‌তো সে।

খন্ড খন্ড 2

১।
আমি যখন হই কৃষ্ণ
তুমি হও রাধা
প্রয়োজন ফুরালেই বলো
এবার যা গাধা!
২।
আমি হই খাঁচা
তুমি হও পাখি
আমি চোখ বুজলেই
তুমি দাও ফাঁকি।
৩।
আমি হই পানি
তুমি ভাষাও নাও
প্রেম সাগ‌রে পাল তু‌লে
‌ছে‌রে কোথায় যাও?
৪।
মন চায় ভালোবাসা
মুখ ফুটে চাই না
প্রয়োজনে চেয়ে নাও
আমায় কেন দাও না?
৫।
আমার কাছে তুই দামী
তোর কাছে আমি ফেলনা
আমার কাছে হীরা তুই
তোর কাছে আমি খেলনা।
৬।
এত ভালোবাসি
তুই চাসনা বুঝিতে
তুই চাইলে পাস
আমার জনম যায় খুজিতে।
৭।
আমার প্রেম গভীর
তোর প্রেম হালকা
আমার প্রেম শক্ত
তোর প্রেম পলকা।
৮।
নিতে নিতে সব নিলি
দিলি না তুই কিছু
বেহায়া মনটা তবু
ঘোরে তোর পিছু!
৯।
আমার মনটা সরল
প্যাচ তোর মনে
শান্তি পেলাম না আমি
জীবনে তোর সনে।
১০।
হৃদয়টা ভাঙ্গে তবু
আছি গড়ার আশায়
একদিন বাড়াবি হাত
ডুবিনা হতাশায়।

Tuesday, September 26, 2017

ঋণী

২৬/০৯/২০১৭

দিনে দিনে তোমার কাছে, হচ্ছি আমি ঋণী
জীবন দিয়ে ইচ্ছে করে, ভালোবাসা কিনি
ইচ্ছে করে সব কিছু দেই, আমি উজার করে
বিলিয়ে দেই নিঃস্বার্থে, সবই তোমায় ঘিরে।

নিতে নিতে ঋণের দায়ে, নাক অবধি ডোবা
দিচ্ছ তুমি তোমার অঢেল, আছে হয়তোবা
জানিনা আমি কতটা আছে, কতটা দিলে তুমি
ঋণের জন্য চাইলে নাতো, বন্ধক কোন ভূমি।

পেতে পেতে তোমার কাছে, চাহিদা গেছে বেড়ে
ফিরত তুমি চাইছো নাযে, নিচ্ছও না কেড়ে
কখনো তুমি বললে না যে, থামাও এবার নেয়া
আস্তে আস্তে ভারটা কমাও, শুরু কর দেয়া।

এক জীবনে কতটা ভালো, বাসতে পারো তুমি?
মাথায় আমার ধরে না যে, চিন্তা করি আমি!
ভালোবাসা পেতে পেতে নিজেকে, লাগছে ভীষণ ঋণী
মাঝে মাঝে চিন্তা করি, সত্যি কি তোমায় চিনি?

তোমায় চিনতে এই জনমে, পারবো নাকো আমি
তুমি আমার সোনার ময়না, হীরার চেয়ে দামী
ঋণ কভু হবে না শোধ, করে জীবন বেচা-কিনি
এই জীবনে তোমার কাছে, থেকেই গেলাম ঋণী।

,খন্ড খন্ড

১।
তুই আমার হীরা চান্দি
তুই গম-ধান
তুই আমার ভালোবাসা
তুই-ই আমার প্রাণ।

২।
বুকের ভিতর আগুন
ধিকি ধিকি জ্বলে
আমি বলি প্রেমে
তুই ভাবিস অম্বলে।

৩।
আমি বসে থাকি
তোর আশায় আশায়
ফাঁকি দিয়ে তুই
চলে যাস বাসায়!

৪।
ভালোবসি তোকে
বলি গলা ফাটিয়ে
তোর বাবা এসে গালে
চর মারে ঠাটিয়ে!

৫।
আমায় দিয়ে কথা
যাস আকাশের সাথে
সারা দিন ঘুরে
ফিরিস তুই রাতে!

৬।
ভালোবাসি তোকে
বলছি হাজার বার
বিশ্বাস করলে কর
বলবো না আর!

৭।
তোর নাম যতবার মনে
করেছি বির-বির
খোদার নাম নিলে
আমি হতাম আজ পীর!

৮।
এত কিছুর পরেও
হলোনা তোকে পাওয়
আমি আজ চোষা
তুই আজ খাওয়া!

৯।
প্রথম দেখায় প্রেমে
পড়ে গেলাম আমি
শেষ দেখায় হাতে বাচ্চা
অন্যে তোর স্বামী!

১০।
চলে গেলি তুই
ভালোবাসা ভুলে
মনটা রেখেছি আজো
তোর জন্য তুলে!

কর্মী

‌নেতার জন্য সব পা‌রি
রাখ‌তে বাজী জীবন
‌নেতার ত‌রে স‌পে দিলাম
আমার দেহ মন!

তার কথা‌তে মি‌ছিল ক‌রি
‌পি‌কে‌টিং, অব‌রোধ, হরতাল
তার কথা‌তে কর‌তে পা‌রি
র‌ক্তে ‌দি‌য়ে রাস্তা লাল।

তার কথা‌তে টেকনাফ থে‌কে
ইয়াবা আ‌নি ঢাকায়।
তার সাথে যে গা‌ড়ি‌তে চ‌লি
‌কেনা অ‌বৈধ টাকায়!

চাটুকা‌রি ক‌রি আ‌মি
সা‌থে থে‌কে সারা বেলা
অ‌ন্যের সা‌থে যুদ্ধ ক‌রি
‌খেল‌তে পা'চাটা খেলা।

পদটা নি‌তে, থাক‌তে টি‌কে
পুতু‌লের মত না‌চি
তার কথা‌তেই জীবন মরন
তার আশা‌তেই বাঁ‌চি!

মা‌ঝে মা‌ঝে ই‌চ্ছে ক‌রে
এসব কিছু ছে‌ড়ে
মুক্ত বাতাশ মা‌খি গা‌য়ে
উ‌ঠি
স্বাধীন ভা‌বে বেড়ে।

শারদীয়

শী‌তের আগমনী, ভোর রা‌তে শীর শীর ধ্বণী
গ্রী‌ষ্মের বিদ‌ায়, প্রচন্ড গর‌মে প্রাণ যায় যায়।
রীতুর আসা~যাওয়া, খাই অসু‌খের ধাওয়া
ভূগী ঠান্ডা~জ্ব‌রে, এই ম‌রে সেই ম‌রে
‌ছোয়া‌চের মত ক‌রে, ঘ‌রের সবাই‌কে ধ‌রে
‌ছোটাছু‌টি দিক‌বি‌দিক, সাত দি‌নে হ‌বে ঠিক।

এত কিছুরও প‌রে
রু‌পের ‌যে আভা ঝ‌রে
বালুর মাঠ, নদীর পাড়
‌বিস্তীর্ণ কাশব‌নের ঝাড়
সাদা ফু‌লে মে‌ঘের রুপ
ই‌চ্ছে ক‌রে দেই যে ডুব
শারদীয় আব‌হ
রুপ যে ভয়াবহ
জুড়ায় আমার প্রাণ
কে‌টে যায় বিরহ।

দূর থে‌কে কাশবন ঘন দে‌খি কত
এর মা‌ঝে ফাকা আ‌ছে হৃদ‌য়েরই মত
‌রোদ শু‌ষে রেশ‌মি হ‌য়ে‌ছে যে ফুল
হঠাৎ বাতা‌শে সে‌ যে হারায় এ কুল
নানা রু‌পে প্রকৃ‌তি, আ‌সে না‌কো নি‌তে
রুপ, রস, গন্ধ, আসে সে‌ যে দি‌তে।
প্রকৃ‌তির মত ক‌রে ভা‌লোবা‌সে কে?
আর কেউ নয়, তুমিই‌তো সে।

Monday, September 25, 2017

কান্না

সমুদ্র তী‌রে বিশালাকায় ঢেউ
আ‌স্রে প‌ড়ে শুনায় তার গর্জন
তী‌রের শেষ প্রান্তে এ‌সে
‌ঝির ঝির শ‌ব্দে নে‌মে যায় আবার
নামার বেলায় কি ত‌বে শুন‌তে পাই
‌ছে‌ড়ে যাওয়া ক‌ষ্টের চাপা কান্নার রোল?

কান্নার ভাষা আর আন‌ন্দের ভাষা
সারা দু‌নিয়ায় কি একই?
সুগন্ধা~কলাতলী কিংবা লাবনী বীচ
সাগর কন্যা কুয়াকাটা সুন্দরী বি‌চের
গর্জন~কান্না~‌বেদনার গানও একই সু‌র!

শত শত মাইল পা‌ড়ি দি‌য়ে ছু‌টে যাই দ‌রিয়ার তী‌রে
শুন‌তে তার গর্জন আন কান্নার রোল।
শ‌ব্দের সা‌থে মন মেলা‌লেই কেবল
শুন‌তে পা‌রি তার কান্না কি গর্জন ধ্ব‌ণি।

কুয়াকাটা

সাগর কন্যা ডাক দি‌য়ে‌ছে
‌যে‌তে তাহার কা‌ছে
তাহার ডাকে দে‌বো না সাড়া
‌সে সা‌ধ্যি কি আ‌ছে!

তাহার ডা‌কে দি‌তে সাড়া
ছুটলাম নি‌য়ে গা‌ড়ি
বউ বাচ্চা রাগ‌যে হ‌লো
‌দি‌লো আমায় আ‌ড়ি!

আমার মত শামীম‌কেও
‌দি‌য়ে‌ছে যে ডাক
ইস্রা‌ফিল‌কে সা‌থে না নি‌লে
কর‌বে ভীষন রাগ।

শামীম ধরা স্টিয়া‌রিং
চালা‌চ্ছে যে গা‌ড়ি
রাম্তায় দেখি চল‌ছে আ‌রো
গা‌ড়ি সা‌রি সা‌রি।

আমা‌দের মত ও‌দেরও‌কি
‌দি‌য়ে‌ছে আমন্ত্রন?
সাগর কন্যার স‌ত্যিই আ‌ছে
বিশাল বড় মন!

Thursday, September 21, 2017

ক‌বির গা‌য়ে জ্বর

ক‌বির গা‌য়ে জ্বর
কাপ‌ছে থর থর
ক‌বি ভূগ‌ছে ঠান্ডায়
কা‌শে গন্ডায় গন্ডায়।


শরী‌রের তাপমাত্রা
উঠ‌ছে মিটা‌রের চা‌ঙ্গে
এমন ব্যাথা, ম‌নে হয়
পি‌ঠে চাহা ভা‌ঙ্গে।

জ্ব‌রে খায় না
খায় না‌কি কাপা‌নি‌তে
এইবার বুঝ‌‌ছি মানুষ
‌কেম‌নে ম‌রে হাপা‌নি‌তে।

জ্বর আ‌সে জ্বর যায়
থা‌কে রোগা দেহ
জ্বর নি‌য়ে ফাজলা‌মো
ক‌রিওনা কেহ!

Wednesday, September 13, 2017

থামাও এবার

হিংসার আগুন যখন ছড়িয়ে পরে
গ্রাম থেকে গ্রামে, ঘর থেকে ঘরে
ধর্ম তখন নিরবে কেঁদে কেঁদে
শোনায় তার অমূল্য বাণী
‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’
হে মানবতার মেডেলধারী সুচি
তোমার জগত মায়ানমারের
রোহিঙ্গা প্রাণীরা কি সুখে আছে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে সুচি,
তুমি কি সেই আগের মতই আছো
নাকি অনেক খানি বদলে গেছো?
হিংসার আগুন যখন গ্রামে লাগে
পীরসাহেবের ঘরও নাকি বাদ যায়না
আরাকান পুড়ছে আর তুমি বিষের বাঁশী বাজলে?
আগুন থেকে বাঁচলেও তাপ তোমায় ঝলসাবে ঠিকই
প্রচন্ড তাপে তোমার মেডেল গলে গলিত লাভার মত
বুক বিদীর্ণ করে ফোটায় ফোটায় পরবে রোহিঙ্গাদের রক্তের মত
আর কত রক্ত ঝড়লে মনে হবে এখন মানবতার গায়ে রক্ত লেগেছে
আর কত মানুষ পুড়লে তোমার নাকে যাবে পোড়া মাংসের গন্ধ
আর কত ধর্ষিত হলে মনে হবে ইজ্জত আজ ভূলন্ঠিত
আর কত মানুষ মরলে মনে হবে এটা গণহত্যা
আর কত বাড়ি পুড়লে মনে হবে জমিন এবার শক্ত হয়েছে?
এবার থামাও এবার থামাও এবার থামাও এ হত্যাযজ্ঞ।

প্রেমের কাব্য

তোমার তখন চৌদ্দ চলে, আমার বয়স ষোল
প্রথম দেখায় আমার মনে, কি যেন কি হলো।
আলতো হেসে গা'টি ঘেষে, পাশ দিয়ে যে গেলে
চোখটি দেখে কি যে হলো, প্রেমে দিলে ফেলে।

তুমি তখন নাইনে পড়, আমি একাদশে
মনটা চাইতো বলি কথা, পাশাপাশি বসে।
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি, নয়তো বেশি দূরে
তোমাকে গান শুনাই আমি, অমর প্রেমের সুরে।

আসতে যেতে হয়যে দেখা, অল্প স্বল্প কথা
দুষ্টমিরই ছলে হচ্ছে, প্রেমের মালা গাথা।
ছোট ছোট চিঠির সাথে, প্রেম দেয়া নেয়া
অজান্তেই ভাসিয়ে দিলাম, মোদের প্রেমের খেয়া।

স্কুল ফাকি দিয়ে তুমি, আমার ক্লাস রেখে
নির্জনেতে কথা বলি, পাছে কেউ না দেখে।
লোক লজ্জার ভয়ে কাপে, বুকটা দুরু দুরু
অনেক আগেই হয়েছে মোদের, প্রেমের কাব্য শুরু!

আস্তে আস্তে প্রেমের কাব্য, সবাই গেল জেনে
প্রিয়ার বাবা ক্ষেপলো ভীষন, নিলো নাযে মেনে।
বাল্য কালেই প্রিয়াকে মোর, দিয়ে দিলো বিয়ে
খবিস বাবা আমার থেকে, প্রিয়াকে গেল নিয়ে।

আমার বাবাও কম যায়না, পাঠালো আমায় বিদেশে
মনটা আমার পড়ে রইলো, প্রিয়ার কাছে স্বদেশে।
দীর্ঘ সময় প্রবাসে থেকে, এলাম আবার দেশে
প্রিয়ার সাথে হঠাৎ দেখা, হলো অবশেষে।

জানতে চাইলো মনটা আমার, কেমন আছে প্রিয়া
সেই কবে যে হয়ে গেছে, আমার প্রিয়ার বিয়া।
এখন তুমি অন্যের ঘরে, অন্য হৃদয় জুড়ে
মনটা আমার তোমার জন্য, এখনও যে পোড়ে।

দেশে কিংবা বিদেশ থাকি, মনটা তোমারই কাছে
তোমায় ভুলবো এই জীবনে, সে সাধ্য কি আছে?
দূর থেকে দেখে মনে মনে, বলছি একটা কথা
ভাল থেকো তুমি যতই থাকুক, আমার মনে ব্যাথা।

বি‌ক্রি হ‌বে!

আমি কিছু বোমা বিক্রি করবো
অত্যন্ত সুলভ মূল্যে, আগে আসলে আগে, ভিত্তিতে
বোমাগুলো পারমানবিক জাতের
অত্যন্ত হাইব্রিড, উচ্চ ফলনশীল, অনেকটা উফসী জাতের!

আমার বোমাগুলো কাজ দেয় ভাল, তরতাজা, টাটকা
একটা ব্যবহারে আপনি ফল পাবেন হাজার বোমার মত
আপনার চিন্তায়ও নেই কেমন এর কার্যক্ষমতা!
মনে হয়তো প্রশ্ন জেগেছে, পারমানবিক কেন?
কারন এর কার্যক্রম মানবিকতাকে করে পরাভূত।
সে এক বিরাট ইতিহাস,
নাম রেখেছিলাম পরা মানবিক, শুনতে কেমন যেন লাগে!
পরে এভিডেভিট করে, রাজস্ব দিয়ে নাম সংশোধন
সেকি ঝক্কি ঝামেলা, এখন সে পারমানবিক বোমা।
আমার বোমাগুলো মানবিকতাকে ধ্বংস করে এমনভাবে
যেখানে আর কোন মানব থাকবে না
যাদের কৈ মাছের প্রাণ তারা থাকবে,
তবে শত বছর পরেও বাচ্চা দিবে বিকলাঙ্গ
সেই শিশু বড় হয়ে মাথা তুলে দাড়াবে না।
ককটেল, হাত বোমা, টাইম বোমা?
অনেক আগেই বেচা ছেড়েছি এগুলো
এক সময় চাহিদা ছিল, অস্বীকার করবো না
নির্বাচনে, মিছিলে, পিকেটিংয়ে, হরতালে
এগুলো ছাড়াতো সফলতার কথা ভাবাই যায়নি।
ওগুলো কেবলই ইতিহাস! গ্রেনেড বেচাই ছেড়েছি সেই কবে!
আমার আছে, আমি আর রাখ‌বো না
এমন অসম মানব সমাজ আমি চাই না
সুলভ মূল্যে নিয়ে যাও, তবে স্টক সীমিত।
নিলে আমায় কথা দিতে হবে,
প্রয়োগে যেন মানবিকতাই মরে, অমানুষ নয়
ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যেন সবাই আৎকে ওঠে
চারিদিকে যেন ধ্বণিত হয় আর্তনাত
চাই‌লে তু‌মি আমা‌কে মে‌রেই শুরু করতে পা‌রো মান‌‌বিকতার দাফন।

Tuesday, September 12, 2017

শান্তির চাষ!

গোস্ত পোড়া গন্ধ ঘোরে বাতাশে
আশে পাশে চরুইভাতি, বারবিকিউ নয়
ঘর পুড়ে, শষ্য পুড়ে, ল্যাপ খাতা কম্বল
পাশের চটলায় উল্লাশ, মাতামাতি, পালাক্রমে ধর্ষন
স্বজনের আর্ত চিৎকার, জবাই করা লাশের গোঙ্গানী
প্রাণ নিয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি
ঘরতো নেই, পোড়া ভিটামাটি ছেড়ে
পয়ত্রিশ কিলো পায়ে হেটে এসেছে ওরা
সমুদ্র স্নানে, খোলা আকাশে রাত্রিযাপনে!
মানুষ মারা যেখানে উৎসব
শান্তির মেডেল পড়া গলায়
আমাকে দিয়ে কি হয় মানবতার ক্ষতি!
আমি রাখাইনে করি শান্তির চাষ!

অধিকার

বার বার তোমার প্রেমে পড়ে
বার বার দাড়াই উঠে
হৃদয়টা বের করাই ছিল
ডান হাতেরই মুঠে।
ব্যর্থ হয়েছি বুঝাতে তোমায়
ছিল, প্রকাশে অসঙ্গতি
একটু ভালবাসলে বলো
হবে কি এমন ক্ষতি?
ফেরৎ দিয়েছো বার বার আবার
চেয়েছি তোমারই কাছে
এছাড়া আর বিকল্প কি
আমার কাছে আছে?
ভালবাসা আছে হৃদয় জুড়ে
হয়তো একদিন খুজবে
বছরে বছরে যুগ চলে যাবে
ঠিকই একদিন বুঝবে।
বলবে আমায় বেহায়া তুমি
নষ্ট প্রতারক ও ভন্ড
মন দাওনি এরচেয়ে আর
কি হতে পারে দন্ড?
শত বকাঝকা শত লাঞ্চনা
ব্যর্থ হয়েছো চেষ্টায়
আমার ছিল দৃঢ় সংকল্প
দেখবো কি হয় শেষটায়।
বার বার আমি ভালবেসেছি
বার বার এসেছি ফিরে
সত্যিকারেই ভালবাসি সেটা
দেখিয়েছি বুকটা চিরে।
যতবারই তুমি ফেরত দিয়েছো
আবারো পড়েছি প্রেমে
অদম্য মোর ভালবাসার জোর
যাইনি তাইতো থেমে।
অন্য কোথাও যাইনি আমি
তোমার থেকে ফিরে
বার বার ফিরে এসেছি শুধুই
ভেবেছি তোমায় ঘিরে।
আজো আমি আশায় আছি
আমায় তুমিই বুঝবে
ডান মুঠো থেকে হৃদয়টা নিয়ে
ভালবাসাটাই খুজবে।
দেখবে তখন হৃদয় জুড়ে
হাজারো নীলচে দাগ
নিজের উপরই তোমার তখন
ধরবে অনেক রাগ।
ভাববে তুমি এমন করে
কেউকি ভালবাসে!
বাসে বৈকি, তাইতো সে যে
বার বার ফিরে আসে!
যখন তোমার হৃদয়ে আমার
হৃদয়টা মেলাবে
কষ্টের শত নীলচে দাগ যে
নিমিশেই মিলাবে।
বলবে আমার হৃদয় তখন
ভালবাসি ভালবাসি
ফিরিয়ে দিয়েছো তাইতো আমি
বার বার ফিরে আসি।

ভালবাসা যখন অধিকার

বার বার আমি প্রেমে পড়ি
বার বার দাড়াই উঠে
হৃদয়টা বের করাই ছিল
ডান হাতেরই মুঠে।

ব্যর্থ হয়েছি বুঝাতে তোমায়
ছিল, প্রকাশে অসঙ্গতি
একটু ভালবাসলে বলো
হতো কি এমন ক্ষতি?

তোমার কাছে পাইনি বলেই
গিয়েছি অন্যদের কাছে
এছাড়া আর বিকল্প কি
আমার কাছে আছে?

ভালবাসা আছে হৃদয় জুড়ে
তাইতো ছুটেছি বার বার
তুমি দিলে না, যেতেও দিবেনা
আছে কি তোমার সে অধিকার?

বলবে আমায় বহুগামী
তুমি নষ্ট প্রতারক ও ভন্ড
মন দাওনি এরচেয়ে আর
কি হতে পারে দন্ড?

বার বার আমি ভালবেসেছি
বার বার এসেছি ফিরে
সত্যিকারেই ভালবাসি সেটা
দেখিয়েছি বুকটা চিরে।

যতবারই আমি ফেরত এসেছি
ততবারই পড়েছি প্রেমে
অদম্য মোর ভালবাসার জোর
যাইনি তাইতো থেমে।

অন্যের কাছে গিয়াছি আমি
তোমার কাছে হেরে
বার বার আমি গিয়াছি শুধুই
ভালবাসার অধিকারে।

দিতে যদি তুমি হতো না যেতে
অন্য হৃদয় দ্বারে
চির ঋণে আবধ্য আমি
হতাম তোমার ধারে।

Monday, September 11, 2017

বন্ধু

বন্ধু ছাড়া চলে নাকি
সকাল দুপুর রাত
বিপদ কালে বন্ধুইতো
বাড়িয়ে দেয় হাত।
বন্ধু হলে সবই চলে
ঝগড়া প্রেম ফুর্তি
বন্ধুতো হয়না কভু
মাটির তৈরী মুর্তি।
বন্ধুর থাকে রক্ত মাংস
আবেগ অনুভূতি
বন্ধুত্বে যায় না খোজা
কখনো লাভ ক্ষতি।
বন্ধু তুমি যেথায়ই থাকো
থাকো সদা মনে
বন্ধু তোমায় অনুভব করি
থাকো প্রানে প্রানে।
বন্ধুকে বলতে হয়না
তোকে ভালবাসি
মনের সাথে মন মিলিয়ে
সেযে বোঝে কেন ফিরে আসি।
দুঃসময়ে না ডাকিলেও
বন্ধু ঠিকই আসে
বক ধার্মিক সুসময়ে
থাকে আসে পাশে।
বন্ধুর ঋণ কখনো যে
শোধ করা যায় না
প্রাণটা দেবে তবুও বন্ধু
বিনিময়টা চায় না।
দুটি দেহের একটি আত্মা
বন্ধু তাকেই বলে
বন্ধুত্বের মাঝে কভু
ফাঁক হলে কি চলে?
নিখাদ প্রেম যাদের সাথে
তারাই আসল বন্ধু
তুমিই আমার অথৈ সাগর
ঘাসের ডগায় একটি শিশির বিন্দু।

Sunday, September 10, 2017

শিরনামহীন

আমার সাথে হাটবি তুই?
চলবি আমার সাথে?
ঘন্টা মাস বছর যুগ
ভোর কিংবা রাতে
বাঁচলে আমি বাঁচবি তুইও
মরলে মরবো সাথে।

খাইলে আমি খাবি তুইও
উপোস থাকলে উপোস
ভালবাসার সাথে কিন্তু
চলবে নাযে আপোষ!

জোৎস্না দেখলে একই সাথে
অমাবশ্যায় হাত রেখে হাতে
মূষলধারে বৃষ্টি এলে
আম কুড়ানো, খেলার কালে
প্রচন্ড ঝড়, বন্যা হলে
গ্রীষ্ম কি শীত শরৎ কালে
অল্প কথায় কষ্ট পেলে
যাবি নাতো আমায় ফেলে?

যদি থাকিস আমায় ঘিরে
বারবার আমি আসবো ফিরে
যখন যেথাই যাই
সকাল দুপুর রাত্রি ভোরে
যাইও যদি কোথাও দূরে
গাই যদি গান অন্য সুরে
কথা থাকবে তোকেই ঘিরে
দেখতে পাবি বুকটা চিড়ে
আমি শুধুই তোর।

হাটবি সাথে থেকে পাশে
বালুকা পথ কিংবা ঘাষে
পাথর সুরকি অগ্নি কয়লায়
নর্দমা কি নোংরা ময়লায়
মখমলে কি পীচ ঢালা পথে
নৌকা কিংবা অগ্নি রথে
বাসে কিংবা স্টিমারে
রেল লাইনের স্লিপারে
হাত ধরে সমান্তরালে
প্রকাশ্যে কি অন্তরালে।

দিলে কথা বলছি তোরে
ফুল দিয়ে ঘুম ভাঙ্গবো ভোরে
আকাশ থেকে চাঁদটা এনে
তোর শত ইচ্ছা মেনে
ভালবাসবো তোকেই শুধু
জীবন জনম ভরে।

মা , , , , ,

যার কারনে আসলাম আমি -- রঙ্গীন ধরণীতে
বৃথা চেষ্টা করি আমি -- তাহার ঋণ শোধিতে।

ভালবেসে কষ্ট শুষে -- দিলো আমায় জন্ম
তার দয়াতে দুনিয়াতে -- করছি কত কর্ম
তার আদরে তার যতনে -- উঠলাম আমি বেড়ে
সেই মাকে খোদা তুমি -- নিলা কেন কেড়ে
মায়ের অভাব ভুলতে চেয়ে -- পারি নাযে ভুলতে
শক্তি আমায় দাও বিধাতা -- এই শোকের ভার তুলতে।

মায়ের মত হয়না যে কেউ -- এই ধরনীতে
বৃথা চেষ্টা করি আমি -- তাহার ঋণ শোধিতে।

মাযে আমার শত কষ্টেও -- দোয়া গেল দিয়ে
সেই মাকে খোদা তুমি -- কেন গেলে নিয়ে
মাযে আমার চন্দ্র সূর্য -- আকাশ বাতাশ তারা
দুনিয়াটা বৃথা লাগে -- মাগো তোমায় ছাড়া
তোমার হাতের পরশ আমি -- ভুলতে যে পারিনা
মাগো আমি তোমায় ছাড়া -- কিছুই যে বুঝিনা।

মাগো তুমি খোদার নিয়ামত -- পারিনি বুঝিতে
বৃথা চেষ্টা করি আমি -- তাহার ঋণ শোধিতে।

তুমিই আমার সোনার বাংলাদেশ

আমার খুব বেড়াতে যাওয়ার শখ।
সময় পেলেই ঘুরে বেড়াই এদিক ওদিক।
কদিনের জন্য গিয়েছিলাম কোলকাতা
সেখানে সবই আছে,
মাছে ভাতের বাঙ্গালী, বাংলায় কথা বলার মানুষ
আছে রিক্সা, গাড়ী, দোকান, ফুটপাত, চায়ের দোকান
ভিক্ষুক, কুলি, মজুর, ভবঘুরে, টাউট, বাটপার
প্রকৃতি, সৌন্দর্য, সকাল, বিকাল, রাত, সুন্দরী ললনা
মদ, নারী, কফি হাউস, সারি সারি বইয়ের দোকান, মল
তার পরেও মনে হয়েছে কি যেন নেই।
যেখানেই পা’রেখেছি পায়ের নিচটা যেন ফাকা ফাকা লেগেছে
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ঘুড়ে বেরিয়েছি।
যেখানেই পা রেখেছি পায়ের নিচের মাটি বড় কোমল
মনে হয়েছে একান্তই আপন, একান্ত নিজের
হে বাংলাদেশ
যেখানেই যাই মনে হয় যেন মায়ের কোলেই বসবাস
এমন কোমলতা, এমন আতিথেয়তা, এমন বাতাশ
কোথাও পাইনি, কোথাও নেই শান্তির সুবাতাশ
প্রিয় জন্মভূমি,
তোমার কোমলতা, ভালবাসা, স্নেহ, প্রেম
এমন উদারতা, এমন স্নিগ্ধতা, এতটা মুগ্ধতা, এতটা সবুজ
কোথাও যে পেলাম না তোমায় স্পর্শে যা পাই
শুধু তোমার বুকে মুখ রাখলে
অনন্য এক ভালবাসার পরশ করি অনুভব
কি আছে তোমার বুকে, কেনই বা এমন আবেশে
আষ্টে পিষ্টে ধরে রাখো আমায়, কেনই বা তোমার মায়ায়
লাখো মানুষ প্রাণ দেয়, কি আছে তোমার গহীন হৃদয়ে
তোমার ভালবাসার মোহ কেন কাটে না আমার
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি বার বার বলতে যে চাই
হে জন্মভূমি, তুমিই যে মা, তুমিই যে প্রিয়ার ডাগর চোখ
তুমিই যে সন্তানের বাবা ডাক, তুমিই যে আমার শেষ ঠিকানা
তোমার কোলে শুরু আমার তোমার কোলেই হতে চাই শেষ
তুমি আর কেউ নও, তুমিই আমার সোনার বাংলাদেশ।

Wednesday, September 6, 2017

শুভ জন্মদিন ** শুভ জন্মদিন শুভ ** জন্মদিন প্রিয়ন্তী


৩০ মার্চ ২০১২ শেষ রাতে আমার মা রওশনারা বেগম পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদের ছেড়ে চলে যান। এর পর দীর্ঘ দিন পার করে ফেলেছি, কিন্তু মা হারানোর ব্যাথা ভুলতে পারিনি, আর জীবনে পারবো বলেও মনে হয় না। তবুও জীবন জীবনের নিয়মে চলতে থাকে।

এমনি একদিন ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে আমি বাবা হয়েছি। নিজের মেয়েকে কোলে নিয়ে আমি যেন আবার আমার মাকেই ফিরে পেয়েছি। আজ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ আমার আরেক মা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী তিন বছর পূর্ণ হলো। সে আজ চার বছরে পা দিয়েছে।
আমার মা যেভাবে আমাকে শাসন করেছে, পথ দেখিয়েছে, সতর্ক করেছে, আদর করেছে আমি তার সব কিছু পাই আমার ছোট্ট প্রিয়ন্তীর কাছ থেকে। সে আমাকে আমার মায়ের মতই বাবা বাবা বলে ডাকে। আমার মা আমাকে জুয়েল নামে খুব কমই ডেকেছে, বাবাই ডেকেছে বেশি। প্রিয়ন্তীর আদর আমাকে আমার মায়ের কথাই বার বার মনে করিয়ে দেয়।

আমার মায়ের জন্য সকলে দোয়া করবেন তিনি যেন বেহেস্ত নসীব হন এবং আমার প্রিয়ন্তী মায়ের জন্য দোয়া করবেন সে যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারে।

প্রিয় আমার

আমায় যদি প্রশ্ন কর, তোমার প্রিয় কে?আমি এক বাক্যে বলে দেব আমার মা।
যে মা আমায় জন্ম দিয়েছে
পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে
হাটতে শিখিয়েছে
পড়তে শিখিয়েছে
শক্ত করে ধরতে শিখিয়েছে
লড়তে শিখিয়েছে
শিখিয়েছে বুঝতে
ভাল কিছু খুজতে
অপরের কান্না মুছতে।
সেই  মা,
যে আমাকে অভয় দিয়েছে
সাহস দিয়েছে
উৎসাহ দিয়েছে
কখনো দিয়েছে বাধা।
আমাকে যে শাসন করেছে
বারন করেছে
আমায় হৃদয়ে ধারন করেছে
ভালবাসতে শিখিয়েছে
কাছে আসতে শিখিয়েছে
হিংসাকে ঝারতে শিখিয়েছে
রাগকে মারতে শিখিয়েছে
অহংকারকে ছারতে শিখিয়েছে
জীবনকে চিনতে।
সেই  মা
যে আমায় আলো দেখিয়েছে
অন্ধকারেও সাহস দিয়েছে
হতাশা থেকে মুক্তি
শিখিয়েছে শত যুক্তি
দূর আকাশে দৃষ্টি দিতে
খুশিতে মিষ্টি দিতে
আনন্দ বিলিয়ে দিতে
কষ্টগুলো নিজের ভিতর চেপে নিতে
গ্রীষ্ম, বর্ষা, প্রচন্ড শীতে
নিজেকে সামলে নিতে
ঝড় ঝঞ্জায় শক্ত হতে
মানবতার ভক্ত হতে।
সেই মা
যে আমাকে শিখিয়েছে
ভুলগুলো কি, ফুলগুলো কি
গন্ধটা কি, মন্দটা কি
ন্যায়টা কি, আর অন্যায় কি
মানুষ কি আর অমানুষ কি
জোৎস্না কি আর ফানুষটা কি
ধর্মটা কি, কর্মটা কি
মানবতা না থাকিলে
সে আবার মানুষ নাকি?

তাইতো আমার প্রিয় তুমি
ওমা তুমিই  জন্মভূমি
তুমিই আমার এক পৃথিবী
সারা জীবনভর।


Tuesday, September 5, 2017

তুই যে আমার


মনের পাখা মেলে ডানা
ঘুরে বেড়ায় বনবাদারে
উদাস পানে চেয়ে চেয়ে
হারায় তারে অন্ধকারে।


হারায়ে তারে খোজে আবার
পায় যে খুজে চোখের কোনে
যাবি কোথায় সামনে থেকে
তুইযে থাকিস গহীন মনে।

মনের ভিতর থাকার পরও
মন যেতে চায় অচিন দেশে
তোকে কাছে পাওয়ার পরও
মন যে ঘোরে প্রেমিক বেশে।

মনকে আমি বুঝাই যত
মন যে ঘোরে যথা তথা
তোকে ভালবাসি কত
কি করে বুঝাই সে কথা।

ঘুরি আমি যে প্রদেশেই
ভালবাসি তোকেই আমি
তুইযে আমার প্রাণের অংশ
হীরার চেয়েও অনেক দামী।

ভালবাসি তোকেই আমি
বুঝিস কিনা তা জানি না
তুই বাসিস কি না বাসিরে
তুই ছাড়া কিছুই মানি না।

নাম তার সু‌চি

নাম তার সু‌চি
সবাই করে ছিঃ ছিঃ
নাই মানবতার রুচি
‌ছিঃছিঃ ছিঃছিঃ ছিঃ‌ছিঃ।
কাজ তার মন্দ
নাই তাল ছন্দ
মানবতার সা‌থে তার
চল‌ছে যে দ্বন্দ।
শা‌ন্তি‌তে নো‌বেল
‌কি‌নছে চড়া দা‌মে
উসুল কর‌ছে তা
রক্ত ও ঘা‌মে
পুড়‌ছে‌যে ঘর
‌নি‌চ্ছে‌যে প্রাণ
মানুষ পুড়ি‌য়ে নেয়
মাং‌সেরই ঘ্রাণ।
তাই‌তো ব‌লি তা‌কে
জা‌নোয়ার সু‌চি
সবাই তাই‌তো ব‌লে
‌ছিঃছিঃ ছিঃছিঃ ছিঃ‌ছিঃ।

দেব শিশুর জলবিছানা

জলবিছানায় ঘুমিয়ে আছে
দেখতে যে দেব শিশু
শান্ত সে যে চোখটি বোজা
বোঝে না সে কিছু।
বোঝে না সে সীমান্ত কি
কাটা তারের বেড়া
বোঝে না সে এ দেশ ও দেশ
মানুষ-জানোয়ারের তাড়া।

জানোয়াররা আসলো গায়ে
করলো শুরু গুলি
জ্বালিয়ে দিলো শেষ সম্বল
জ্বলছে যে ঘরগুলি।
মা বো‌নে‌দের কর‌ছে তারা
ধর্ষন ও হত্যা
আর্তনা‌দের শব্দটা কি
শে‌া‌নেনা বিশ্ব কর্তা?

প্রাণ বাঁচাতে সব যে ফেলে
হলো ঘরের বার
ভয়ের চোটে দেব শিশুটি
হাতটি ধরলো মার।
ছুটছিলো সে হাতটি ধরে
মায়ে সাথে সাথে
ছুটছিলো সে দিক বিদিক
অজানারই পথে।

দেব শিশুটি বোঝে নাতো
মানুষ মানবতা
দেব শিশুটি বোঝে নাতো
হিংসার ব্যাকুলতা।
‌দেব শিশু‌টি বো‌ঝে নাতো
‌বৌদ্ধ মুসলমান
‌দেব শিশু‌টি বো‌ঝে না‌তো
‌কেনই নি‌চ্ছে প্রাণ।

হিংসার আগুনে পোড়ে
গ্রাম, দেশ, মানবতা
হিংসার আগুনে পোড়ে
ফেলে আসা স্মৃতি কথা।
হিংসার আগু‌নে পে‌া‌ড়ে
ধর্ম আর সমাজ
‌হিংসার আগু‌নে পো‌ড়ে
মানুষ আর র‌হিংগা সমাজ।

গ্রাম পুড়েছে ঘর পুড়েছে
কারন যে নাই জানা
চির নিদ্রায় গেছে সে যে
পেতে জলবিছানা।
‌হিংসাটাও থে‌মে যা‌বে
থাম‌বে যে সব‌কিছু
‌সে‌দিন তো আর নিদ্রা থে‌কে
উঠ‌বে না দেব শিশু।

এই শিশুটির দেশটি কোথায়
গ্রামের নামটি কি?
কে করে তার শাসন জানো
অং সান সুচি!
শান্তিতে পায় নোবেল সে যে
গ্রাম উজার করে
সেই দেশেতে নিরিহ মানুষ
জানোয়ারে খায় মেরে।