ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Tuesday, February 9, 2010

সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে সংসদে যাচ্ছে খালেদা জিয়া । সত্যি না মিথ্যা সময় বলে দেবে

দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়েছে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০। প্রথম পাতায় প্রকাশিত সংবাদটি সকলের সংগ্রহে নাও থাকতে পারে তাই আমার এই লেখার নিচে প্রকাশিত খবেরের একটি কপি রেখে দিলাম।আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন দৈনিক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের দাওয়াত করে সংসদে যাওয়ার অনুরোধ সংগ্রহ করলেন। এত দিন যাবত আমরা শুনে আসলাম যে সরকার তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে না। সংসদে যাওয়ার পরিবেশ নেই। নানান অযুহাত। হঠাৎ এমন কি হলো যে সংসদে যাওয়ার পরিবেশ তৈরী হলো। এমন কি প্রয়োজন হলো যে সংসদে যেতে হবে? কি এমন বসন্তের সন্ধান পেলেন সংসদে? এই যাওয়ায় কতদিনই বা সংসদে অবস্থান করবেন সেটাই দেখার বিষয়। আমরা মনে প্রাণে চাই বেতন ভাতা টিকিয়ে রাখতে খালেদা জিয়া সংসদে যাবেন না। এবার সংসদে গিয়ে দেশ ও জনগনের কথা বলবেন, আপনাদের সাথে খারাপ আচরনের প্রতিবাদ করবেন। আপনাদের যেমন রয়েছে সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা তেমনি রয়েছে বিরোধী দলে থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা।তাই কি করতে হবে আমাদের মত আম জনতার চেয়ে আপনারাই ভাল জানেন।
সংসদে যাওয়ার একটা মহা মূল্যবান টিকিট দেশের সাধারণ জনতা আপনাকে এবং আপনার দিকে তাকিয়ে আপনার প্রার্থীদেরকে দিয়েছে। এর চেয়ে বড় পরিবেশ আর হতে পারে না। আমাদের আশা আপনি সংসদে যাবেন। সংসদে কথা না বলতে দিলে কিভাবে কথা বলা যায় সে বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করে পরামর্শ চাইবেন। সহযোগিতা করুন আর নাই করুন আওয়ামীলীগ ৫ বছর সরকার চালাবে যেমনটি আপনারা চালিয়েছেন। সরকারে থাকলে বিরোধি দলের দাবিদাওয়া কানে যায় না। যেমনটি আপনাদের কানে যায়নি এখন আওয়ামীলীগের কানে যাবে না। আবার আপনারা সরকার গঠন করলে আপনাদের কানেও যাবে না এটা গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি। কিছু জিনিস জীবনেও সোজা হয় না, যতই ঘি মাখুন!!!! তাই আসুন, শুভ বুদ্ধির উদয় করি। আমি ভাল তো সব ভাল।


বিরোধী দলকে সংসদে ফেরার অনুরোধ সম্পাদকদেরসরকারকে আরো সময় দেব : খালেদা জিয়া নিজস্ব প্রতিবেদকসংসদে আলোচনার মাধ্যমে দেশের সব সংকট সমাধানের জন্য বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। গণমাধ্যমের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা দেশের শীর্ষ দুই নেত্রীকে 'গণতন্ত্রকুঞ্জে' (জাতীয় সংসদ) একত্রিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন।
জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা বলার জন্য তাঁরা সংসদেও যাবেন, রাজপথেও থাকবেন। সরকার যেসব ভুল করছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলবে বিরোধী দল। জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্টদের সঙ্গে গতকাল সোমবার মতবিনিময়ের সময় খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা চাই না দেশে আবার অসাংবিধানিক সরকার আসুক। সব দায় একতরফাভাবে বিরোধী দলের ওপর চাপালে হবে না; সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা সরকারকে আরো সময় দেব।'
গুলশানের হোটেল লেকশোরে গতকাল বিকেলে সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন সূচনা বক্তব্য দেন। পরে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত জানান। কেউ কেউ বলেন, যেসব যুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দল সংসদে অনুপস্থিত, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ বলেছেন, বিভিন্ন ইস্যু থাকার পরও গত এক বছরে বিএনপি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সে কারণে সরকার জনগণের দাবির প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছায় দেশ চালাচ্ছে।
প্রবীণ সাংবাদিক এ বি এম মুসা বলেন, 'সংসদে বিরোধী দলকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করার সুযোগ নেই। বিরোধী দলের অবশ্যই সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদে যেভাবে দাবিগুলো তোলা যায়, বাইরে থেকে সেভাবে তোলা যায় না।' ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম বিরোধী দলের নেতার উদ্দেশে বলেন, 'আমরা সবাই মনে করি, আপনারা দুজন দেশের অত্যন্ত অভিজ্ঞ নেত্রী। দুই দল একযোগে কাজ করলে যেকোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে। দুটি দলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে গণতন্ত্র সুসংহত হবে।'
দীর্ঘদিন পর মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, 'আপনারা মনে করেন, সরকারের এক বছরে অনেক ইস্যু তৈরি হয়েছে, সে কারণে সংসদে গিয়ে আপনাদের সে কথাগুলো বলা উচিত। সংসদে না যাওয়ার জন্য যেসব যুক্তি আপনারা দেখাচ্ছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়।'
কালের কণ্ঠের সম্পাদক আবেদ খান বলেন, 'আমরা যদি সংসদকে সবকিছুর নিয়ামক মনে করি, তাহলে সংসদের ভেতর দিয়েই সব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। আমরা বুঝতে পারি না, আপনাদের দুই নেত্রীর মধ্যে কেন সরাসরি কথা হবে না। আপনারা একত্রিত হলে দেশের মানুষ খুশি হয়। দুই নেত্রী আলোচনা করেই সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন। বাংলাদেশকে কিন্তু আর দুরবস্থার মধ্যে ফেলা যাবে না। আবারও দেশ সংকটে পড়লে সে দায় আপনাদেরই নিতে হবে।'
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, 'ছাত্র ধর্মঘট, অবরোধ, হরতালের মতো কর্মসূচি যাতে না দেওয়া হয়, সে বিষয়ে বিরোধী দলকে নজর রাখতে হবে। এতে মানুষের দুঃখ-কষ্ট বাড়ে।' মতবিনিময় সভায় অবজারভার সম্পাদক বলেন, 'জরুরি অবস্থা চলাকালে দুই নেত্রীকে মাইনাস করার বিষয়টি দেশের কোনো মানুষই সমর্থন করেনি। সে বিষয়টি আপনাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আপনারা দুজন আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পেঁৗছতে পারলে জাতি রক্ষা পাবে। সেনাকুঞ্জে গিয়ে যদি আপনারা এক হতে পারেন, তাহলে গণতন্ত্রকুঞ্জে এক হতে আপত্তি কোথায়?'
বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রশ্ন রাখেন, 'আপনারা সংসদে কবে যাবেন? গেলে কি সই করেই আবার চলে আসবেন?'
সম্পাদক-সাংবাদিকদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন আতাউস সামাদ, নূরুল কবির, সালমা ইসলাম, আবুল আসাদ, এ এম এম বাহাউদ্দিন আহমেদ, রুহুল আমীন গাজী, কবি আল মুজাহিদী, ফরিদ হোসেন, শাইখ সিরাজ, রেজাউল করিম তালুকদার, আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
পরে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা সংসদে যেতে চাইলেও সরকারি দল তা চায় না। আমরা যখন সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঠিক তখনই তারা সংসদে আমাদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। তারা মনে করে, আমরা সংসদে গেলে তাদের সমস্যা হবে। তাদের সম্পর্কে অনেক কথা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু এর পরও আমরা সংসদেও যেতে চাই, রাজপথেও থাকতে চাই।'
দুই নেত্রীর একত্রিত হওয়া প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, 'এ বিষয়ে একতরফাভাবে কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। জাতীয় ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী আলোচনার জন্য ডাকলে অবশ্যই যেতাম। পিলখানার ঘটনার পর আমরা আশা করেছিলাম, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকারি দল। কিন্তু তারা কোনো আলোচনা করেনি। প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে যান, তখন আমরা একটি বক্তব্য দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সে বক্তব্য নেওয়া হয়নি।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা বর্ণনা করে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, 'ছাত্রদলের ছেলেমেয়েরা ক্যাম্পাসে থাকতে পারছে না। উপাচার্য সরকারদলীয় লোক। তাঁর কাছে অভিযোগ দিলে বিচার পাওয়া যায় না। যে নিরীহ ছেলেটি মারা গেল, সে কোনো দল করে না। এর পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য আপনারা শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কোনো পর্যায়ের মন্ত্রীরা সত্য কথা বলেন না।'
মহাজোট সরকার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের পরিবর্তে বাইরের কোনো দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত রয়েছে_এ অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। এর পরও এক বছরে আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেইনি।'
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, আবুল আসাদ, মতিউর রহমান চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, খন্দকার মুনীরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, বদিউজ্জামান, সবুজ ইউনুস, এনটিভির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এনায়েতুর রহিম, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, এটিএন বাংলার প্রধান বার্তা সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দিগন্ত টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম হানিফ, বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদী, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, রেডিও টুডের প্রধান বার্তা সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা, ডিইউজে একাংশের সভাপতি আবদুস শহীদ প্রমুখ।

Wednesday, February 3, 2010

পদ্মায় বাঁশের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

>>>>>>মঙ্গলমাঝির ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিশাল বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা>>>>>>
>>>>>>মঙ্গলমাঝির ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিশাল বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা>>>>>>>

পদ্মায় বাঁশের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার


শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ওছিমদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদীর মূল প্রবাহে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁশের ব্লক বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির খান। প্রশাসনের নিরবতায় দিনের পর দিন এভাবে মাছ ধরলেও স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। স্থানীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি জানি না। করে থাকলে ঠিক করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। মৎস কর্মকর্তাকে তুলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রবাহমান পদ্মা নদীর তীর থেকে ২০-২৫ ফুট জায়গা খালি রেখে উত্তর-দেিণ প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গা বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি ব্লক বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁশের বাঁধের সঙ্গে জাল আটকানো আছে। প্রায় ২ মাস যাবত এভাবে প্রশাসনের নিরবতায় যুবলীগ নেতা মাছ ধরছে বলে স্থানীয়রা জানায়। বাঁধের কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, মাছের অবাধ বিচরন ও নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বাঁধে কর্মরত পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের আশু মালো ও দুদু মিয়া জানান, তারা মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করেন। ইলিশ, রুই, কাতল, চিতল, পাঙাশ, বোয়ালসহ জাটকা ধরা পড়ছে এ জালে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মাছ ধরা পড়ছে।
জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম মাদবর বলেন, পদ্মায় বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেউ যদি করে থাকে তবে কাজটি ঠিক করেনি। এতে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
বাঁধের বিষয়ে কথা বলতে যুবলীগ নেতা মনির খানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ৭ দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যেই বাঁধ তুলে দেয়া হবে।
শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রবাহমান নদীতে যদি কেউ বাঁধা দিয়ে থাকে বা বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় সেটা বে-আইনি। আমরা বিষয়টি অবগত হলাম। দ্রুত অপসারন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ঘুরে ঘুরে মধু আহরণ...

>>>>>>>>>>>>শরীয়তপুরে জাজিরায় ধনিয়া ক্ষেতের পাশে এভাবেই চলছে মধু আহরনের কাজ>>>>>>>>
>>>>>>>>>>>>শরীয়তপুরে জাজিরায় ধনিয়া ক্ষেতের পাশে এভাবেই চলছে মধু আহরনের কাজ>>>>>>>>

ঘুরে ঘুরে মধু আহরণ...
ঘুরে ঘুরে চলছে মধু আহরণ মৌ মাছি এ ফুল থেকে ও ফুলে ঘুরে আর মৌয়ালী এ জেলা থেকে ও জেলায় এখন মৌয়ালীরা এসেছে শরীয়তপুর জেলায় আর মৌ মাছিরা যাচ্ছে ধনিয়া আর কালজিরার ফুলে ফুলে এভাবেই চলে বাণিজ্যিক ভাবে মধু আহরনের কাজ শরীয়তপুর জেলার জাজিরায় এমন ভ্রাম্যমান মধু চাষীরা প্রায় ১ হাজার মৌ বক্স নিয়ে মধু আহরণের কাজ করছে আর মৌমাছিরা ফুলে পরাগায়ন ঘটিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দিচ্ছে
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে মাঝিরঘাট-শরীয়তপুর মহাসড়কের দুই পাশে বিশাল বিশাল ফসলের মাঠ। মহাসড়কের পাশে আড়াচন্ডী মোড়, কাজির হাট ও চৌকিদার বাড়ী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ৪ টি স্থানে মৌয়ালীরা মধু সংগ্রহের জন্য বসেছে তাদের সরঞ্জাম নিয়ে। প্রায় ১ মাস যাবত তারা এসেছে। সরঞ্জামের মধ্যে মৌমাছিসহ বক্স, মধু সংগ্রহের জন্য ঘুর্ণন মেশিন, মধু রাখার পাত্র। তাবু খাটিয়ে রাত দিন ২৪ ঘন্টা তদারকি করছেন মৌ বক্সের মালিকসহ শ্রমিকরা। রাত দিন পরিশ্রম করে মৌ মাছির কামড় খেয়ে একেকজন শ্রমিকের বেতন মাত্র ২ হাজার টাকা।
জাজিরার আড়াচন্ডির মোড়ে ১০৫টি মৌ বক্স নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে এসেছে মিজানুর রহমান। মাত্র ২০টি মৌ বক্স দিয়ে যাত্র শুরু করে এখন তার ১০৫টি বক্স। মিজানুর রহমান জানায়, সপ্তাহে ১ দিন মধু সংগ্রহ করে। প্রতি সপ্তাহে ১৫-২০ মন মধু আহরন করা যায় ভরা মৌসুমে। মিজানুর রহমান বলেন, মধু সংগ্রহ করলেও ভাল দাম পাই না। সরকার যদি পৃষ্ঠপোষকতা দিত তবে আমরা লাভবান হতে পারতাম। প্রতি কেজি মধু বিক্রি করি ২০০-২০৫ টাকা। অথচ প্যাকেটজাত করে আমাদের মধু বিক্রি হয় ৩৫০-৪০০ টাকা।
সাতরিার সুন্দরবন এলাকার সুকুমার মন্ডল ৩ বছর যাবত মধু আহরনের ব্যবসা করছে। এবার এসেছে জাজিরার কাজিরহাট নামক স্থানে। ১২৫টি মৌ বক্স নিয়ে বসেছে ধনিয়া খেতের পাশে। সুকুমার জানান, এর আগে সরিষা খেতের পাশে মৌ বক্স বসিয়েছিল। ধনিয়া ফুলের মধু সংগ্রহ শেষে যাবে লিচু বাগানে। লিচুর ফুল শেষ হলে ফিরে যাবে সুন্দরবনে। এভাবেই ঘুরে ঘুরে তারা সংগ্রহ করে মধু। আপে একটাই, বাজারজাতের অভাবে ভাল দাম পায় না।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, মধু সংগ্রহের সাথে সাথে মৌমাছি কৃষকদের সবচেয়ে বড় যে উপকারটা করছে তাহলো ফুলে পরাগায়ন ঘটিয়ে ফসলেরও উৎপাদন বাড়িয়ে দিচ্ছে।