ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Thursday, December 27, 2018

ইসির যুগান্তকারী পদক্ষেপ! নির্বাচনের দিন সকল যান চলালচ বন্ধ!


নির্বাচনের সময়ে নানান বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্বাচন কমিশন। এবারও করছে, তাতে কোন মাথাব্যাথা নেই। তবে এবার নির্বাচনের দিন বেশ কিছু বিধিনিষেধ যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসাবে জাতির কাছে বিবেচিত হবে বলে আমার মনে হয়। এমন সিদ্ধান্ত কি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে না কাউকে সন্তুষ্ট করতে তা কিছুটা হলেও অনুমেয়। পানি নিচের দিকে গড়ায় এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এবার পানি মনে হয় একটু বেশি গড়গড়িয়ে গড়াচ্ছে।

গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের যু্গ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) এর এক পত্রের আলোকে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার সহকারী সচিব মোঃ লিয়াকত আলী যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধের বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বেশি নাখোশ মটর সাইকেলের উপর। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত (চারদিন) মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত সড়কপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এর আওতায় রয়েছে-বেবি ট্যাক্সি, অটো রিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু, স্থানীয় পর্যায়ে যন্ত্রচালিত বিভিন্ন যানবাহন। তবে, রিটার্নিং অফিসার অনুমিত সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচনে বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধুযে স্থলের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তা নয়, ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্য রাত হতে ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে না লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত সকল ধরনের নৌ-যান (ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান ব্যতীত), স্পীড বোটও।

যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও আরো কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী নির্দেশনায় জানায়, নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া কেউ মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছাড়া কেউ মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না অ্যান্ড্রয়েড তো দূরের কথা ৪০০ গজের মধ্যে কেউ বাটন (ফিচার) মোবাইল নিয়েও ঢুকতে পারবেন না তবে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপারে আমাদের করার কিছু নেই বলে তিনি জানান

নির্বাচনের দিন যেভাবে যান চলাচলের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তাতে মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। বর্তমানে মানুষ মোবাইলের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। ভোট দিতে যাওয়া ব্যক্তির স্বজনরা প্রয়োজনে তার কোন খোজ নিতে পারবে না এটা কেমন কথা? ভোট কেন্দ্রে যদি মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না দেয় তবে বাইরে মোবাইল রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করুক। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ কেমন টাল সিদ্ধান্ত বুঝলাম না! আর যান চলাচলে যে ধরনের বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে তাতে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে কিভাবে? সবার বাড়িতো আর কেন্দ্রের পাশে না। নির্বাচনকে বলা হয় ভোট উৎসব। উৎসবের দিন যদি যান চলাচল বন্ধ থাকে তবে মানুষ পায়ে হেটে কতক্ষণ উৎসব উপভোগ করতে পারবে? আমার মত স্থুলকায় মানুষ দশ মিনিট হাটলে পায়ের গোড়ালী ফুলে যায় সেখানে দূর দূরান্ত থেকে কিভাবে পায়ে হেটে ভোট দিতে যাবে ভোটাররা? কমিশনের সিদ্ধান্ত কি ভোটারদের জন্য না অন্য কারো জন্য? অতি উৎসাহী সিদ্ধান্ত সাধারণ জনগণকে কতটা ঝামেলায় ফেলবে সেটা কি একবারও ভেবে দেখেছে? উৎসবের দিন নির্বাচন কমিশন পরিবহন সুবিধা চালু করুক! সহিংসতার অযুহাতে এসব কি? তাহলে নিরাপত্তা প্রশাসন কি করবে, আঙ্গুল চুষবে বসে বসে?

একটি দুষ্ট ছেলের গল্পঃ ছাত্রজীবনে ক্লাশ শুরুর আগে এসেম্বেলী করতে হতো। শিক্ষক বললো-আরামে দাড়াও!
সকল ছাত্র সোজা হয়ে দাড়ালো। এবার শিক্ষক বললো-ডান পা তোলো!
ছাত্ররা ডান পা শুন্যে তুলে বাম পায়ে দাড়ালো। এবার শিক্ষক বললো-বাম পা তোলো!
এক দুষ্ট ছাত্র জিজ্ঞেস করলো-স্যার ডান পা না নামিয়ে বাম পা তুললে দাড়াবো কিসে ভর দিয়ে? আমার চ্যাংগের উপড় ভর দিব?!

আমারও প্রশ্ন-যান চলাচল বন্ধ রাখলে চলবো কি দিয়ে, মোবাইল ফোন বাসায় রেখে আসলে যোগাযোগ করবো কি দিয়ে?

Tuesday, December 25, 2018

তরুনরা বলছি, সত্যি, আমরাই বাংলাদেশ

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ‘আপনারাই বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৩ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে তরুণদেরকে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

সাধারণ বিবেচনায় যাদের বয়স ত্রিশের কোঠায় তাদেরকে আমরা ‘তরুণ’ বা ‘যুবক’ বলতে পছন্দ করতাম। চল্লিশের উপর বয়স গেলেই তাদের নাম ‘বয়স্কদের’ খাতায় তুলে দিতাম আগে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)’র মতে এখন তারুণ্যের মেয়াদ ৬৫ বছর পর্যন্ত। ফলে শুধু ত্রিশের কোঠায় অবস্থানকারীরা নিজেদের ‘তরুণ’ বলে জাহির করার সুযোগ হারিয়েছেন। সময়ের বিবর্তনে মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। উন্নত হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে বাড়ছে গড় আয়ু। তাই বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আমাদের মানসিক শক্তি। এখন মানুষের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ছে আগের চেয়ে ধীরে ধীরে। বর্তমানের ৪০ বছর বয়সী নারী কিংবা পুরুষরা আগের ৩০ বছর বয়সীদের মতো শারিরীক ও মানসিক শক্তি ধারণ করছে। ১৮৭৫ সালে পাস করা ব্রিটিশ প্রশাসনের ফ্রেন্ডলি সোসাইটিস অ্যাক্টে ছিল ৫০ বছর বয়সের পর থেকেই একজন মানুষ ‘বার্ধক্যে’ প্রবেশ করল। আর জাতিসংঘের খাতায় বার্ধক্যে প্রবেশের সীমান দেয়াল হচ্ছে ৬০ বছর। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মানুষকে তারুণ্যের শক্তি প্রদর্শনের জন্য ৬৫ বছর পর্যন্ত সময় দেয়ার পক্ষপাতি। এ ব্যাপারে তারা নতুন একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। বর্তমানের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সুযোগ, জীবনমান, গড় আয়ু ইত্যাদি বিবেচনায় জীবনচক্রের নতুন বিভাজন তৈরী করেছে। এগুলো হচ্ছে: (ক) ০ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু। (খ) ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত তরুণ। (গ) ৬৬ থেকে ৭৯ বছর পর্যন্ত মধ্যবয়সী। (ঘ) ৮০ থেকে ৯৯ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধ। (ঙ) ১০০ বছরের উপরে গেল দীর্ঘজীবী।
আমার বয়স এখন চল্লিশ চলমান। উপরের তথ্য অনুযায় আমি বলতেই পারি ‘আমি তরুন বা যুবক’। তাই একজন তরুন বা যুবক হিসাবে জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর ভিডিও বার্তার উপর কিছু কথা বলতে চাই। পাঠকদের জন্য ভিডিও বার্তায় কি আহ্বান করা হয়েছে তুলে ধরছি এবং জবাবে কিছু কথা বলছি-
“আপনারা যারা এবারই প্রথম ভোট দেবেন, তাদেরকে আমি কিছু বলতে চাই। আমার বয়স যখন আপনাদের মতো, তখন আমরা একটা যুদ্ধে গিয়েছিলাম দেশটাকে মুক্ত করবো বলে। তখন আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ ছিল, যারা বলতো যে,পাঞ্জাবীদের সাথে যুদ্ধে আমরা কোনো দিনও পারব না। মেরে-কেটে ওরা শেষ করে দেবে। ওদের ট্রেইনড মিলিটারিদের বিপরীতে আমরা হলাম বাচ্চা ছেলেপেলে। তারা আসলে ভয় পেত। যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার অনুতাপে কাতর ছিল তারা। আমরা সেদিন তাদের কথা শুনিনি। বড় বড় পাকা পাকা বিশ্লেষণে কান দেইনি। আমরা শুধু আমাদের মনের কথাটা শুনেছিলাম। শুধু একটা স্বপ্নকে তাড়া করেছিলাম। দেশটা মুক্ত হবে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ।”
খুবই ভালো কথা। আপনি সেদিন আপনার মনের কথাটা শুনেছিলেন। আমাদের উপর আস্থা রাখুন, আমরাও আমাদের মনের কথা শুনবো। মনে যদি আপনাদেরকে সমর্থন না দেয় তবে আশাহত বা মর্মাহত হবেন না।

“আমার বয়স এখন সত্তর। আমি এই বয়সেও সেই একই স্বপ্ন তাড়া করছি। আমি তো আশায় ভরপুর! আপনারা কী স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছেন? আমাকে বহু মানুষ বলে, ভোটে তো স্যার আপনারাই জিতবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ আপনাদের রেজাল্ট খেয়ে ফেলবে। তার কারণ হলো, আওয়ামী লীগের সমীকরণে আপনারা (তরুণরা) নেই। তারা আপনাদের (তরুণদের) তাচ্ছিল্য করে। টু দেম ইউ ডোন্ট ম্যাটার। তাদের পরিকল্পনা, এমন সন্ত্রাস করো ২৯ তারিখ পর্যন্ত, যেন আপনারা (তরুণরা) পোলিং সেন্টারে যাওয়ার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলেন।”
না স্যার, আমরা স্বপ্ন দেখতে ভুলিনি। এখনও আমরা স্বপ্ন দেখি। তবে হারলে রেজাল্ট খেয়ে ফেলার অভিযোগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের তাচ্ছিল্য করার ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে সাহস পায় না, যেমন আপনারাও পান না। বেশিক্ষণ স্বপ্নে বিভোর না থেকে বাস্তবতা হাতড়িয়ে দেখুন। কেন মানুষ বর্জন করছে, কেন ফেল করছেন, কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তরুন-যুবক-জনতা।

“এমন এক ন্যারেটিভ তারা বাংলাদেশে দাঁড় করিয়েছে যে, আপনি যাকেই ভোট দেন, আপনার রাজনৈতিক জাজমেন্ট যাই হোক না কেন, সেই ভোটকে, আপনার বিশ্বাসকে, তারা চুরি করে পাল্টে দেবে। আমি বলি কী,আপনারা ওদের দেখিয়ে দিন যে, আপনারাই বাংলাদেশ। দেখিয়ে দিন যে, ইউ ম্যাটার। আপনারা এই দেশের মালিক এবং আপনার ভোটেই ঠিক হবে এদেশের ভবিষ্যৎ।”
স্যার, এমন ভাবে বলছেন যেন ভোট চুরি এই প্রথম দেখলেন! পূর্বে ভোট চুরি দেখেননি? নিজেরা করেননি? অতীতে ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ফেরেস্তা দিয়ে কি নির্বাচন পরিচালনা করতেন? তরুন-যুবকরা ভোলে না, আমরা ভুলিনি। সত্যিই বলেছেন, আমরাই দেশের মালিক। তাই মালিকের সমর্থন আপনাদের পক্ষে না গেলে কষ্ট পাবেন না। সমর্থন কিসে আসবে তা খতিয়ে দেখে নিজেরা সংশোধন হন।

“আপনার বিবেচনায় যাকে বলে তাকেই ভোট দিন। আমি সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ভোট আপনারা অবশ্যই দেবেন। সকাল সকাল দেবেন। দেখিয়ে দিন যে, আপনারাই বাংলাদেশ। যৌবনে আমরা এই দেশটার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। বার্ধক্যে এসে আপনাদের কাছে আমি শুধু একটা দিন চাইছি। ৩০ ডিসেম্বর, শুধু একটা দিন বাংলাদেশের জন্য। ৩০ ডিসেম্বর সকাল সকাল ভোট দিন। দেখিয়ে দিন যে, আপনারা শুধু ভোট দিতেও জানেন না, ভোট ডাকাতিও আটকাতে পারেন। গণতন্ত্রটা বাঁচাতে হবে। একটা আলো আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম আমাদের যৌবনে। যেটা আমরা আপনাদেরকে দিতে চাই। এই আলোটা আপনারা শুধু আপনাদের সন্তানদের কাছে পৌঁছে দেবেন, তাহলেই হবে। আলোটাকে নিভতে দেবেন না।”
আপনার এই কথাগুলো ভালো লেগেছে। আমার বিবেচনা যাকে বলে তাকেই ভোট দিব। ৩০ ডিসেম্বর ভোট দেবো গণতন্ত্র বাঁচাতে, গরীবের হক নষ্ট যেন না হয় সেই জন্য, কেউ যেন আর ১০% কমিশন খেতে না পারে সেই জন্য, দেশে যেন জঙ্গীবাদ মাথা চাড়া না দেয় সেই জন্য, দুর্নীতিতে যেন দেশ বার বার শীর্ষে না যায় সেই জন্য, আরো আলোকিত বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে ভবিষ্যতে তা দেখার জন্য।

নিজের আশেপাশের তরুন-যুবকদের দেখে সারা বাংলার তরুন-যুবকদের নিজের মনে করা ঠিক হবে বলে মনে হয় না। এর বাইরেও তরুন আছে, এর বাইরেও জগত আছে। নিজের বিবেচনা সকল তরুন-যুবকের উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমাদের সিদ্ধান্তের উপর আস্থা রাখুন। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিব। গণতান্ত্রিকভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলে তরুনদের দোষ দিবেন না।   

Sunday, December 23, 2018

এইতো জীবন

আমিতো নই পরম পূজ্য, ধরম ধুরন্ধর
নিজের দাড়ি নিজেই কামাই, 
তাই বলতে পারো, আমি সু-শীল-নরসুন্দর।
আমিতো নই জননেতা, মাঠের রাজনীতিবিদ
কাম করি খাই-দাই ঘুমাই,
তাই ভাবতে পারো, আমার নাই জ্ঞান হিতাহিত।
আমিতো নই জ্ঞানের সাগর, ব্যক্তি বিজ্ঞ-পন্ডিত
নিজের মত ভাবনা ভাবি,
তাই ভাবতে পারো, নড়বড়ে আমার জ্ঞানের ভীত।
আমিতো নই সাধু-সাধক, আধ্যাতিক মহা গুরু
আমজনতা-কৃষক আমি, এলেম যে কম,
তাই বলতে পারো, চাষা-ভূষা আমি মাঠে চড়াই গরু।
আমিতো নই সুদর্শন, অভিনেতা, কিংবা মহানায়ক
নিজের মনে গুনগুনিয়ে গান গাই,
তাই ভেবো না যে, আমি মস্ত সুর সম্রাট-গায়ক।
আমিতো নই সুশিল মানুষ, মধ্যপন্থী কেউ
মন যা বলে, করছি প্রকাশ আমি,
জেনে রেখো, আমারও আছে মনে ক্ষোভের ঢেউ।
অধম জুয়েল বলে, কি হলি তুই এসে এই ভবেতে?
খালি-দালি, দিন কাটালি আসলে ভাবে,
তাই বলতে পারো, কাটা্ই জীবণ আনন্দেতে মেতে।

Friday, December 21, 2018

নির্বাচনী প্রচারণা ও সেলফি মুডঃ নেতারা সাবধান!

সারা দেশে চলছে এখন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। নেতা-নেত্রীরা চষে বেরাচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রাম, বাড়ি থেকে বাড়ি। আরতো মাত্র কয়েকটা দিন। এর পরই শান্তি আর শান্তি। শুধু যে নেতা-নেত্রীরাই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তা কিন্তু নয়। কর্মীরাও চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারের উর্বর ভূমি বিশ্বাসের চাষ করার জন্য! কিন্তু এর মাঝে আছে অনেক সুযোগ সন্ধানী কর্মী। তারা এলাকায় নেতার পক্ষে কাজ করার চেয়ে নেতাকে দেখাতেই বেশি ব্যস্ত। সুযোগ সন্ধানী দুষ্ট কর্মিরা ঘুর ঘুর করছে নেতার আশে পাশে আর সেলফি তোলাতে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে নেতাদের।
আসলে সেলফি শব্দটা আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই নতুন একটা ভাবনা। সেলফির রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বহু পুরনো ইতিহাস। নেট ঘাটলে সেলফি সম্পর্কে যে ধারনা পাওয়া যায় তা হলো-সেলফি শব্দটির প্রাথমিক ব্যবহার ২০০২ এর আগে পাওয়া গেলেও, ২০০২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ান এক অনলাইন ফোরামে (এবিসি অনলাইন) প্রথম ব্যবহৃত হয়। নিজস্বী বা সেলফি (সেল্ফি) হলো আত্ম-প্রতিকৃতি আলোকচিত্র বা দল আলোকচিত্র, যা সাধারণত হাতে-ধরা ডিজিটাল ক্যামেরা বা ক্যামেরা ফোন ব্যবহার করে নেয়া হয়। সেলফি প্রায়ই ফেসবুক, গুগল+, ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টাম্বলার এবং টুইটারে ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করা হয়ে থাকে। সেলফি শব্দটি প্রথম এসেছে ইংরেজি সেলফিশ থেকে। সেলফি অর্থ প্রতিকৃতি। অক্সফোর্ড অভিধানের মতে, সেলফি হল একটি ছবি (আলোকচিত্র) যা নিজের তোলা নিজের প্রতিকৃতি, যা সাধারণত স্মার্টফোন বা ওয়েবক্যামে ধারণকৃত এবং যে কোনো সামাজিক মাধ্যমে আপলোড (তুলে দেয়া) করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সেলফি হাত সামনে তুলে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, কখনো-কখনো সেল্ফ টাইমার ব্যবহার করেও নেয়া হয়। রবার্ট কর্ণিলিয়াস, একজন মার্কিন অগ্রণী আলোকচিত্রী, যিনি ১৮৩৯ সালে নিজের একটি দাগেররোতীপ্ বা আত্ম-প্রতিকৃতি ক্যামেরায় ধারণ করেন, যা ছিল প্রথম কোন একজন ব্যক্তির আলোকচিত্র। ১৯০০ সালে পোর্টেবল কোডাক ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা বাজারে আসার পর ফোটোপ্রাফিক আত্ম-প্রতিকৃতি তোলা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বহনে সহজ এই ক্যামেরার সাহায্যে আয়নার মাধ্যমে সেলফি তোলার প্রচলন শুরু হয় তখন থকেই।
১৮৩৯ সালে তোলা প্রথম সেলফি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছে নতুন মাত্রা। প্রার্থীরা এখন কোথায় গেলেন, কি করলেন, কি বললেন সবই আমাদের মত ভোটাররা জানতে পারেন মূহুর্তের মধ্যে। সেই সুযোগটা নেয় অনেক সুবিধাবাদী কর্মীরা। তারা কাজের চেয়ে সেলফি তোলে বেশি এবং আপলোড দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেক সুবিধাবাদী আছেন তারা নিজ এলাকায় না গিয়ে, নেতার জন্য কাজ না করে নেতা কোথায় আছে সে খবর রাখে বেশি। তাদের ধান্দা থাকে নেতা চোখ খুললেই যেন তাদের চাঁদ বদনখানা যেন দেখতে পায়। এধরনের সুবিধাবাদীর কারনে আপনার প্রয়োজনেও আপনি নেতার কাছে ভিরতে পারবেন না। পায়ে পায়ে, গায়ে গায়ে বাড়ি খাবেন এমন সুবিধাবাদীর সাথে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে কোনটা কার আইডি বুঝা বড় দায়। সবাই নেতাকে তেলাতে নেতার ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসাবে ব্যবহার করে। বুঝার উপায় নাই কোনটা নেতার আইডি আর কোনটা কর্মীর আইডি। হতে পারে এটা নেতার প্রতি ভক্তির কারনে করছেন। কিন্তু একটা প্রবাদ ভুলে গেলে যে চলবে না-‘অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ’। এসব চোরদের কারনে নেতাদের বিপথগামী হতে হয় অনেক সময়। সুবিধাবাদীদের সুবিধা দিতে গিয়ে নেতারা হন দেউলিয়া, বিবেক ভ্রষ্ট, নীতিহীন, দুর্নীতি পরায়ন।
সুবিধাবাদীদের এমন কাজের উদ্দেশ্যটা কি সেটা আমরা সবাই বুঝি, বোঝেন নেতারাও! আসলে সুবিধাবাদীদের মূল উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে নেতার কাছের লোক হিসাবে পরিচিত করা, নেতার দ্বারা অনৈতিক সুবিধা হাতিয়ে নেয়া, নিজেদের আখের গোছানো। এ সুবিধাবাদী লোকগুলো পরগাছার মত, পরজীবীর মত যারা অন্যের আশ্রয়ে বাড়তে থাকে এবং একসময় দৈত্যাকার রূপ ধারন করে। এদের থেকে নেতাদের সাবধান হওয়া উচিত যা অনেক নেতা সাবধান হতে পারেন, অনেক নেতা পারেন না।
আমাদের একটা বহুল জনপ্রিয় সংলাপ আছে-‘আমি কিন্তু সব বুঝি, কে আমার বুকের দিকে তাকায় আর কে পিঠের দিকে’। রাজনৈতিক নেতারা দেশের এক অমূল্য সম্পদ। যুগে যুগে প্রতিটি দেশে দেশে ভালো যা কিছু হয়েছে তা নেতাদের নেতৃত্বের কারনে, নেতাদের হাত ধরেই হয়েছে। নেতারাই পারেন গণমানুষের কথা চিন্তা করতে, গণমানুষের কল্যানে কাজ করতে, গণমানুষের কল্যানে কাজ করতে সরকারকে বাধ্য করতে। নেতারা ঘাস খেয়ে নেতা হয়না। বহু কাঠ খর পুড়িয়ে নেতা হন একজন ব্যক্তি। বিপথগামী হওয়ার আগ পর্যন্ত একজন নেতা পুড়ে পুড়ে খাটি সোনা হন। তাইতো নেতারা পরম পূজ্য। তারা সব বোঝেন। আগামীতেও তারা সব বুঝেই সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমার আশা ও বিশ্বাস। একজন নেতা যতক্ষণ সুবিধাবাদীদের মন বুঝতে পারবেন, সুবিধাবাদীদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন ততদিনই সে নেতা থাকবেন। সুবিধাবাদীদের জালে আটকে গেলে ভ্রষ্ট হবেন, নেতা থাকবেন না। তাই সাবধান! সুবিধাবাদীদের মিষ্টি হাসি থেকে, সেলফি থেকে, দর্শন থেকে।
ছবিঃ ১৮৩৯ সালে তোলা প্রথম সেলফি, নেট থেকে নেয়া।

Wednesday, December 12, 2018

মহিলার হাতে রিক্সা চালক নির্যাতন ও ভাইরাল ভাবনা


ভাইরাল। কথাটার মধ্যেই কেমন যেন একটা ভাইরাস ভাইরাস গন্ধ আছে। ভাইরাস (Virus) সম্পর্কে যদি একটু খোজ খবর নেন তবে জানবেন, ভাইরাস হলো এক প্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এরা অতি-আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়। ভাইরাসকে জীব হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা, এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে। ভাইরাস মানুষ, পশু-পাখি, উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। এমনকি, কিছু ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে-এদের ব্যাক্টেরিওফাজ (Bacteriophage) বলা হয়। ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ। এর অর্থ হল বিষ। আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত। বর্তমান কালে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বহু রোগ সৃষ্টির কারণ হল ভাইরাস। ভাইরাস কে জীবাণু না বলে 'বস্তু' বলা হয়। কারণ, জীবদেহ কোষ দিয়ে গঠিত , কিন্তু ভাইরাস অকোষীয়। ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। 

আর বর্তমানে ফেসবুক ভাইরালও দ্রুত ছড়িয়ে যায়। সম্প্রতি ঢাকায় এক রিক্সা চালককে এক মহিলা দ্রুত রিক্সা চালাতে না পারার অভিযোগে মারধর করে। এক পর্যায়ে পথচারিরা বিতর্কে জড়ালে তাদের সাথেও মহিলা খারাপ আচরণ করে। একজন মহিলার এমন আচরন আমাদের সবাইকে হতবাক করেছে। একজন মহিলার কাছ থেকে এমন আচরণ কারোরই কাম্য নয়, যেমনটি নয় আমার।

একজন প্রায় স্থুলকায় মহিলাকে রোগা পাতলা রিক্সা চালক কতটুকু দ্রুতইবা টেনে নিতে পারে? মহিলার হয়তো জরুরী কোন কাজ ছিলো। কিন্তু জরুরী কাজের জন্য দ্রুত যেতে হলে তাকে অন্য বাহন বেছে নেয়া উচিত ছিলো, রিক্সা দিয়ে কি টেক্সির দ্রুততা আশা করা যায়? অথচ মহিলা সেটাই আশা করেছেন। তার চেয়ে বড় কথা হলো একজন ভদ্র মহিলার যে আচরণ থাকার কথা ঐ মহিলার মধ্যে সেই আচরণ দেখা যায়নি। সে যেভাবে রিক্সা চালককে মারধর করেছে, উচ্চ স্বরে গালাগাল দিয়েছে, প্রতিবাদী পথচারিদের সাথে যে আচরণ করেছে তা দেখলে কেউই মহিলাকে ভদ্র মহিলা সম্বোধন করবে বলে মনে হয় না, তাই আমিও বার বার মহিলাই লিখছি ভদ্র মহিলা লিখলাম না। 
ঘটনাটা ঘটার পর ফেসবুকে আসলে মূহুর্তেই হয়ে যায় ভাইরাল। বড় বড় মিডিয়াও ভিডিও সহ সংবাদ প্রচার করতে থাকে। প্রশ্ন উঠে কে এই মহিলা, কি তার পরিচয়, কোন দল করে, শুধুই মহিলা না গণিকা? কারন হচ্ছে, আমাদের দেশের জল-হাওয়ায় বেড়ে উঠা ভদ্র মহিলারা এভাবে প্রতিবাদ করতে অভ্যস্ত নয়। প্রতিবাদ করলেই নারীর জাগরণ ঘটেছে বলা যাবে না, প্রতিবাদ হতে হবে যৌক্তিক, শালীন, ভদ্রচিত, মার্জিত, আচরন হতে হবে রুচিশীল যার ছিটেফোটাও মহিলার মধ্যে আছে বলে মনে হয়নি। 
ফেসবুকে প্রচারের সাথে সাথে সুযোগ সন্ধানী মানুষ মহিলার ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি, পেইজ খুলে প্রোফাইলে বিএনপির নেত্রী, আওয়ামীলীগ নেত্রী বানিয়ে ফেলেন। সেই আইডি থেকে পোষ্টও দেয়া হয়, ‘আমি বিএনপি নেত্রী, বিএনপি নেতার ভাগ্নে,’ ‘আমি আওয়ামীলীগ নেত্রী, আমার বিষয়ে পোষ্ট দিলে মামলা করবো।’ বাস্তবে খোজ নিয়ে দেখা যায় আইডিগুলো সবই ঘটনা প্রচার পাওয়ার পর পরই ওপেন করা হয়ে। যা ভাইরাসের মত ছড়িয়েছে। 
সবচেয়ে বড় কথা হলো, সে আওয়ামীলীগ করুক বা বিএনপি করুক, মহিলা হোক বা পুরুষ তাতে তার কর্মের সাথে কি সম্পর্ক? একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে, ‘আগুন খাইলে আঙ্গার ত্যাগ করতে হয়।’ সে অপকর্ম করেছে, মানুষকে হেয় করেছে, অপমান করেছে তার মানে সে ভদ্রতা শিখেনি। এই কারনে যদি কিছুটা দোষ হয়ে থাকে তবে সেটা তার পিতা-মাতার দোষ। কারন প্রথমত এমন কন্যা পয়দা করে তারা ভুল করেছে, দ্বিতীয়ত পয়দা করার পর নৈতিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সবকিছুর মধ্যেই আমরা দলকে টেনে আনি। আওয়ামীলীগ-বিএনপি আমাদের দেশের বিশাল দুই দল। এতবড় দলে লুচ্চা, বদমাইশ, পাজি, সুবিধাবাদী যেমন আছে, তেমনি দেশ প্রেমিক, নিবেদিতপ্রাণ, হাজি, ইমাম, শিক্ষাবীদও আছে। 
তাই, ভাইরাল ভাবনায় আমরা দলকে না টেনে ব্যক্তি যদি কোন অপরাধ করে থাকে সেই বিষয়টা বিবেচনায় আনলে মহিলা হয়তো ভবিষ্যতের জন্য সংশোধন হতে পারে। 

Thursday, December 6, 2018

ভাব

ভাবের ভবে, নিলাম কত ভাব
জানি, এতে নেই যে কোন লাভ
তবুও মানুষ, ভাব’ই দেখে চেয়ে
দেখেনা কেউ, কি এসেছি খেয়ে।
ভাবের ভবে, পাল্টাই কত রং
রং-মেখে, সং-সেজে করি ঢং
আনন্দ পাও, তোমরা সবে দেখে
হেসে’ই চলি, দুঃখ পাছে রেখে।
ফকির তবুও, ধরি রাজার বেশ
হীন স্বার্থে, দেশ করলাম শেষ
প্রেমনেই মনে, তবুও দেশপ্রেমিক
সাধারণে যত, বলুক ধিক! ধিক!
রাজনীতিকের, নেই যে কোন নীতি
জনগণে, নেই যে কোন ভীতি
দেশের প্রতি, নেই যে কোন মায়া
মানুষ কেন, হচ্ছে আজ বেহায়া?
অধম জুয়েল বলে, ভাব নিয়ে কি লাভ
ভাবের ধোকায়, বাড়ছে যে তোর পাপ
ভাব না ধরে, ভজ আসল মানুষ
উড়াসনে আর, মিথ্যে ভাবের ফানুস।