ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Friday, August 2, 2019

জাজিরাতেই থাকছে তাঁতপল্লী। ধন্যবাদ প্রিয় নেতা ইকবাল হোসেন অপু

শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী হবে এমন খবরে যেমন আমরা খুশি হয়েছিলাম তেমনি অনিয়ম ও দুর্নীতির অযুহাতে বলি আর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনেই বলি, এ প্রকল্প স্থানান্তরের খবরে হতাশ হয়েছিলাম আমরা শরীয়তপুরের সর্বস্তরের জনগন। শরীয়তপুরের মাটি ও মানুষের নেতা সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু জাজিরা থেকে প্রকল্পটি চলে যাওয়া রোধ করে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে পূনর্বহাল করার বিষয়ে নিবিরভাবে কাজ করেছেন। প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া প্রকল্প পূনরায় বহাল করায় আনন্দিত শরীয়তপুরবাসী। ধন্যবাদ প্রিয় নেতা ইকবাল হোসেন অপু। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই, থেমে থাকবে না! প্রকল্পের শেষ পর্যন্ত আপনার নজরদারী খুবই প্রয়োজন। এই প্রকল্প শুধু শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) এলাকার জনগণের জন্য নয়, এটা পুরো শরীয়তপুরবাসীর জন্য একটা উন্নয়ন উপহার, যার সুবিধা ভোগ করবে সমস্ত শরীয়তপুরবাসী। এমন একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়, আর সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন আমাদের রাজনীতিবীদ সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু।  
সারা দেশের মত উন্নয়ন বঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চলের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে নানান উন্নয়ন পরিকল্পনা। তারই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে তাঁতপল্লী নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পটির জন্য শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ৬০ একর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় ৪৮ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁতপল্লীতে থাকবে কারখানা, আবাসন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ আধুনিক সব সুবিধা। মিরপুরের বেনারসি পল্লীর তাঁতিরাও এ পল্লীর অর্ন্তভূক্ত হবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পদ্মা সেতুর দ্রুত বাস্তবায়নের সঙ্গে এ এলাকায় তাঁতপল্লী স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের তাঁতিরা। ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী তাঁতপল্লীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও জায়গা নির্ধারণ হয়েছে আরও আগেই। দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে মাটি ভরাটের কাজ। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫৩ কোটি টাকা। এতে ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলোতে প্রত্যেক তাঁতির জন্য ৬০০ ফুটের কারখানা ও ৮০০ ফুটের মধ্যে আবাসন সুবিধা থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে সুতা-রঙসহ কাঁচামালের সুবিধা দেওয়া হবে। নির্মাণ হবে আর্ন্তজাতিক মানের শোরুম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তাঁতিদের ছেলেমেয়েদের জন্য থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। 
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী এই পদ্মাপাড়ে তাঁতপল্লী গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠবে। এখানে সয়েল টেস্ট শেষে বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ২৫৩ কোটি টাকার কাজ শেষ করব। মূল প্রকল্প ১ হাজার ৯১১ কোটি টাকার। এটি একটি মেগা প্রকল্প। এখানে ঢাকার মিরপুরের বেনারসি পল্লীর তাঁতি ও এই অঞ্চলের তাঁতিদের পুনর্বাসন করা হবে। তাদের প্রত্যকের জন্য আধুনিক অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তাঁতিদের বিনামূল্যে অথবা ন্যায্যমূল্যে সুতা, রঙসহ বিভিন্ন কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে। রঙ করা, ফ্যাশন ডিজাইনসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই খবরে শরীয়তপুর সহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আশার আলো দেখতে পায়। দীর্ঘ উন্নয়ন বঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চলের শরীয়তপুর জেলায় নানান প্রকল্প বাস্তমায়নে আর্থসামাজিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এখন এলাকার ভাগ্যবঞ্চিত মানুষ।   
জননেত্রীর এই মহতি উদ্যোগের খবর প্রচার পাওয়ার সাথে সাথেই একশ্রেণীর প্রতারক দালাল চক্র শুরু করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি। অধিগ্রহণ করা হবে এমন জমিতে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তোলা হয় বিভিন্ন স্থাপনা ও রোপন করা হয় গাছপালা। এমন অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরে অনিয়ম রোধে মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় ১৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাওয়া শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীর পূর্ব নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করার ঘোষণা জানিয়ে দেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী। চিফ হুইপ গণমাধ্যমকে জানান, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীর নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখা গেছে এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না। আমাদের নির্দেশনায় মাদারীপুরের প্রশাসন অবৈধ সব স্থাপনা ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু শরীয়তপুরের প্রশাসন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। গত ২৪ মার্চ পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব এলাকায় অবৈধভাবে ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেসব এলাকা এই প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, দুই জেলায় এমন একটি প্রকল্প করতে গেলে শুধু এই অনিয়মই নয় ভবিষ্যতে আরও কিছু সমস্যা হবে। তাই সংসদীয় কমিটি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবাই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী একই উপজেলায় করা হবে। আর এ জন্য মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী জাজিরা থেকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণায় শরীয়তপুরের সর্বস্তরের মানুষের মনে চরম ক্ষোভের ও হতাশার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সেই হতাশার মেঘ কাটাতে শরীয়তপুর-জাজিরা বাসীর সাংসদ এ অঞ্চলের প্রিয় নেতা ইকবাল হোসেন অপু মাঠে নামেন। বাঙ্গালি জাতির শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে এবিষয়ে সুবিন্যস্ত আকারে ব্যাখ্যা করে এর ইতিবাচক-নেতিবাচক (মেরিট-ডিমেরিট) সবকিছু উপস্থাপন করেন প্রিয় নেত্রীর একান্ত স্নেহের সুযোগ্য সাংসদ নন্দিত জননেতা ইকবাল হোসেন অপু। মুহুর্তেই দুর হয়ে যায় সকল হতাশার কালো মেঘ। টিকে যায় জাজিরা অংশের তাঁতপল্লী। জাজিরা এলাকায় একাধিক বৈঠক করে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি স্থানীয় মানুষকে বুঝাতে চেষ্টা করেন প্রকল্পের গুরুত্ব এবং আমাদের জন্য প্রকল্পটি কতটা আশীর্বাদের। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে শরীয়তপুরের জাজিরাতেই পূর্বনির্ধারিত জায়গায় প্রকল্প বহাল করেন। এলাকার উন্নয়নে একজন রাজনীতিবীদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, শ্রম কখনো বৃথা যেতে পারে না তা প্রমান করেছেন সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু। সাংসদের আন্তরিক চেষ্টায় স্থানীয় লোকজন তাদের স্থাপিত ঘড়-বাড়ি, গাছপালা সরিয়ে নেয় এবং প্রশাসন চাপে পড়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে যা শরীয়তপুরবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।     
যখন প্রকল্পের শরীয়তপুর অংশটি একটি প্রবল ক্ষমতাধর চক্রের ষড়যন্ত্রে হাতছারা হওয়ার দারপ্রান্তে, ঠিক তখনি শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে এবিষয়ে সুবিন্যস্ত আকারে ব্যাখ্যা করে এর ইতিবাচক-নেতিবাচক (মেরিট-ডিমেরিট) সবকিছু উপস্থাপন করেন প্রিয় নেত্রীর একান্ত স্নেহের সুযোগ্য সাংসদ নন্দিত জননেতা ইকবাল হোসেন অপু। মুহুর্তেই দুর হয়ে যায় সকল হতাশার কালো মেঘ। টিকে যায় জাজিরা অংশের তাঁতপল্লী। শরীয়তপুরের জাজিরায় তাঁতপল্লী বহাল রাখার জন্য যে আন্তরিকতা, বিচক্ষণতা পরিচয় দিয়েছেন এবং যে শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়েছেন প্রিয় নেতা ইকবাল হোসেন অপু তার জন্য শরীয়তপুরবাসী চির কৃতজ্ঞ থাকবে। তাঁতপল্লী চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের খবরে কুচক্রী মহলের প্রতি যতটা ঘৃণা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছিলো প্রকল্প বহাল হওয়ার খবরে তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছে শরীয়তপুরবাসী। শরীয়তপুরবাসীর একজন হিসাবে বলতে চাই, ধন্যবাদ জননেতা ইকবাল হোসেন অপু। আপনার আন্তরিকতা, বিচক্ষণতা, নিষ্ঠা, শ্রম শরীয়তপুরবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে মনে রাখবে।    

No comments:

Post a Comment