ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Monday, February 11, 2019

ভাষার ও মানচিত্রের জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় হোক একটি সমন্বিত স্মৃতিস্তম্ভ

আমাদের মুখের ভাষার, স্বাধীন ভাবে চলার, মাথা উচু করে দাড়াবার অধিকার এমনিতেই আসেনি। অধিকার আদায়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে ত্যাগ, সংগ্রাম করেছে তার ঋণ শোধ দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই এবং কোন কালেও সেই ক্ষমতা হবে না। রক্তের ঋণ কখনো শোধ দেয়া যায় না, দিতে পারবোও না। কিন্তু সেই ত্যাগীদের আমরা যদি যথাযথ ভাবে শ্রদ্ধা না জানাই তবে সেটা হবে অস্তিত্বের সাথে বেইমানী, বিশ্বাস ঘাতকতা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মই নয় আমাদের সম্পর্কে সারা বিশ্বের যে প্রান্তের মানুষই জানবে তারা আমাদের বেইমানী, বিশ্বাস ঘাতকতার জন্য ক্ষমা করবে না। বরং ঘৃণাভরে আমাদের ধিক্কার জানাবে। আমরা আমাদের সেই ত্যাগী বীরদের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল, অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে তাদের স্মরণ করেছি, করি এবং করবো। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিষ্ঠিত স্মৃতিস্তম্ভগুলো ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের নিমিত্ত তৈরী শহীদ মিনার যা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতিরূপ। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য তৈরী স্মৃতিস্তম্ভের আদলে কোন শহীদ মিনার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চোখে পরবে না। আমাদের দেশে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপনের কিছু কার্যক্রম আছে। তবে সময় এসেছে সেই কার্যক্রমকে একটু ঢেলে সাজিয়ে আরো সুন্দর ও সাবলিল ভাবে শ্রদ্ধানিবেদন করার। আর এ কারনে প্রয়োজন একটি সমন্বিত স্মৃতিস্তম্ভ যা সরকারের উদ্যোগ ছাড়া করা সম্ভব নয়। ভাষা আন্দোলনের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, জেলা সদরে ও উপজেলাগুলোতে একটি সমন্বিত স্মৃতিস্তম্ভ হোক সময়ের দাবী।
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। অনেকেই হয়তো সেই ইতিহাস সম্পর্কে অবগত আছেন। নতুন প্রজন্মও বিভিন্ন ভাবে জানছেন। তবুও সংক্ষিপ্ত ভাবে আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু কথা এই লেখায় তুলে ধরতে চাই-
১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অবহেলা ও প্রবঞ্চনা শুরু হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত হানে সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসীর বাংলা ভাষার উপর। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন প্রথম মাইলফলক। তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ তথা ৫৬.৪০% অধিবাসীর ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে মাত্র ৩.২৭% অধিবাসীর ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করে। ভাষা আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উর্দুর সাথে বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা করা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা সংগ্রামীরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করে আমাদের প্রাণ খুলে কথা বলার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন।
পাকিস্তান রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে বৈষম্যমুলক আচরণ শুরু করে। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী কোন দিনই পুর্ব পাকিস্তানকে তাদের রাষ্ট্রের অংশ মনে করেনি, মনে করেছে তাদের উপনিবেশ । এর প্রমাণ, পাকিস্তানের মোট জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (প্রায় ৫৬%) পূর্ব পাকিস্তানে বাস করা সত্ত্বেও রাজধানীসহ কেন্দ্রীয় সরকারের সকল বিভাগ, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি বেসরকারি অন্যান্য আর্থিক ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রধান কার্যালয় পশ্চিম পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশ পরিচালনার মূল ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে থাকে। প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, গুরুত্ত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীত্ব থাকে অবাঙালি পাকিস্তানিদের হাতে। এছাড়া আয় বৈষম্য, সম্পদ পাচার, বৈদেশিক সাহায্য, শিল্পের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষমের শিকার হয় পূর্ব পাকিস্তান নামের আমার সোনার বাংলা।
পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। জাতির জনকের ৬ দফা শোষিত ও নির্যাতিত বাঙালির নিকট তাদের “ম্যাগনাকার্টা” বা “মুক্তিসনদ” রুপে গৃহীত হয়। জাতির জনকের কারিশমাটিক নেতৃত্ব এবং বাংলার সংগ্রামী ছাত্র সমাজের গতিশীলতায় অল্প সময়ের মধ্যেই এই কর্মসূচীকে সকল স্তরের বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বলিষ্ঠ ঘোষণায় পরিণত হয়।
১৯৬৯ সালের ১৭ জানুয়ারী থেকে ১১ দফা দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। ঐ দিন ছাত্র সংগ্রাম কমিটি হরতাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় সভা আহবান করে। একই দিনে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটিও পল্টন ময়দানে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী গ্রহন করে। এই কর্মসুচী চলাকালে পুলিশের সাথে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ বাধে। এতে জনমনে ভীষন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ১৮ জানুয়ারী প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়। এদিনও পুলিশি নির্যাতনে বহু ছাত্র আহত ও গ্রেফতার হয়। এ আন্দোলন ২০ জানুয়ারী চরমে পৌছায়। এদিন হাজার হাজার ছাত্রের মিছিল রাস্তায় নামলে পুলিশ মিছিলের উপর গুলিবর্ষন করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ শহীদ হয়। আসাদের মৃত্যুতে গণজাগরনের বিস্ফোরণ ঘটে। ২১ জানুয়ারী ঢাকা শহরে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। ২২ ও ২৩ জানুয়ারী প্রতিবাদ মিছিল হয় এবং ২৪ জানুয়ারি ঢাকা শহরে সাধারণ হরতালের ডাক দেয়া হয়। ২৪ জানুয়ারি সকাল থেকেই ছাত্রসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক, শহরের দরিদ্র ও মেহনতি মানুষসহ সকল পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। হরতাল সম্পূর্ণরূপে সফল হয়।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যূথানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের পতন হলে জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগন একচাটিয়াভাবে ৬ দফার পক্ষে রায় প্রদান করে। আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনের পর শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রনয়নের দলের অভিমত জানিয়ে দেন এবং এ ব্যাপারে অনড় থাকেন। ইয়াহিয়া খান, ভূট্রো সাহবের প্ররোচণায় আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা তালবাহানা শুরু করেন এবং গোপনে পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য আমদানী করতে থাকেন। ইয়াহিয়া ১৯৭১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষনা করেন, ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। কিন্তু ভূট্রোর সাথে গোপন বৈঠকের পর ১ মার্চ ইয়াহিয়া ৩ মার্চের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। ইয়াহিয়ার এই ঘোষনায় সারা দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝড় উঠে। শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিবাদে ২ ও ৩ মার্চ ঢাকায় হরতাল এবং ৭ মার্চ রেসকোর্সের ময়দানে জনসভার ঘোষনা দেন। ২ ও ৩ মার্চ ঢাকায় হরতাল সফল হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্সের ময়দানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভায় ঘোষনা করলেন “...এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম...”। ৭ মার্চের ভাষণ সারা দেশের মানুষকে রোমাঞ্চিত করে তোলে। তাঁর এ ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস বাঙালির মনে সংগ্রামী প্রণোদনা যোগায়।
২৫ মার্চ মধ্যরাত্রি হতে বাঙালির উপর শুরু হয় ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বর্বরতম গণহত্যা অভিযান। বাঙালিরাও এ গণহত্যা অভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঐ রাতেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হবার পূর্বে ২৫ মার্চ রাত্রি ১টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সর্বতোভাবে মোকাবেলার আহবান জানান। ২৭ মার্চ চট্রগ্রামের কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন। এই যুদ্ধ দীর্ঘ নয় মাস ধরে চলে। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে আসে আমাদের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর অধিনায়ক লেঃ জেনারেল আমির আবদুল্লাহ নিয়াজী তার ৯৩ হাজার সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রসহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে যৌথ কমান্ডের প্রধান জগজিৎ সিং অরোরা ও বাংলাদেশ বাহিনীর পক্ষে উপ প্রধান এ. কে. খন্দকারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পনের দলিলে স্বাক্ষর করেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ বাঙালির রক্তদান ও মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের উদ্ভব হয়।
সীমাহীন ত্যাগ, শ্রম, রক্ত, ঘাম ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রাণের ভাষা ও স্বাধীনতা। সেই ভাষা শহীদ ও সংগ্রামীদের এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ ও সংগ্রামীদের আমরা বিভিন্ন আয়োজনে স্মরণ করি। তবে ভাষা আন্দোলনের শহীদ সংগ্রামীদের বিষয়ে আমাদের স্মরণ একটু ভিন্নতর। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই থাকে শহীদ মিনার। সরকারী উদ্যোগে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বউদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করে শহীদ মিনার। একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহর থেকেই শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সকালে নিজ নিজ শিক্ষালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে র‌্যালি করে। কিন্তু স্বাধীনতার সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় না। বিজয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে এসে কুচকাওয়াচ সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়ে থাকে। সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান দিবসগুলোর প্রথম প্রহরে তোপধ্বন্নিসহ জেলা বা থানায় স্থাপিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাজধানীর মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্মৃতিসৌধে গিয়ে বা প্যারেড গ্রাউন্ডে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মত স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনটা কেমন যেন খাপছাড়া মনে হয়। 
আমার প্রস্তাবনা হচ্ছে, ভাষা শহীদদের জন্য প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই যেমন শহীদ মিনার রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। এখন কথা হলো, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি শহীদ মিনার গড়া কতোটা যুক্তিযুক্ত বা কেমন হবে? এব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা খুবই জরুরী। সরকার চাইলে আমাদের দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের, স্থপতিদের বা সকল শিল্পী-স্থপতিদের কাছ থেকে একটা সমন্বিত নকশা আহবান করতে পারেন। যে নকশায় একটি শহীদ মিনার হবে ভাষা শহীদদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর মত সমন্বিত শহীদ মিনার। একটি স্মৃতিস্তম্ভে ফুটে উঠবে দুটি মহান ত্যাগ ও গৌরবের ইতিকথা। সরকার চাইলে এটা সরকারি উদ্যোগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরী করে দিতে পারে। বিশেষ করে সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করে দিবে এবং বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নকশা সরবরাহ, আর্থিক সহযোগীতা করতে পারে। এতে করে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের স্মৃতিস্তম্ভটি দেখে একই সাথে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে এবং নির্ধারিত দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে। আমাদের ভাষা আন্দোলনের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ত্যাগ, গৌরবগাথা মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকুক আজন্ম, এটাই হোক সরকারের সু-প্রচেষ্টা, আমাদের প্রাপ্তি। 

No comments:

Post a Comment