ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Friday, November 9, 2018

বইছে এখন নির্বাচনী হাওয়া, চাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান

নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করে তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন দেশে জোড়ে শোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। বাড়িতে, অফিসে, চায়ের দোকানে বসে গেছে টকশো। আলাপ হচ্ছে শুধুই নির্বাচন নিয়ে। পক্ষে-বিপক্ষে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। একে অপরের প্রতি যুক্তি তুলে ধরছে নিজের দল ও প্রার্থীকে সেরা প্রমান করতে। তবে, তর্ক-বিতর্ক সবই চলুক শান্তিপূর্ণ ভাবে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হোক সকল দল, মতের মানুষের।

একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র হবে ৪০ হাজার ১৯৯টি। এতে ভোট কক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৫টি করে ভোট কক্ষ থাকে। ভোটের অন্তত ১৫দিন আগে কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশনার। 

পরিসংখ্যান দেখলেই অনুমান করা যায়, কি বিশাল জনগোষ্ঠী একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে জনগণকে তার রায় দেয়ার সুযোগ দেয়ার। আর ইচ্ছা থাকলেই কেবল তা সম্ভব বলেই মনে হয়। বিশাল জনগোষ্ঠীর সবাই রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। কিন্তুু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কথায় কথায় বলে ‘জনগণের আশা আকাঙ্খা’ পূরনে তারা কাজ করছে। জনগণ সেটা ভালো ভাবেই জানে কি আশা আকাঙ্খা পূরনে তারা কাজ করে। দেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। রাজনৈতিক বক্তব্য বুঝার যথেষ্ট জ্ঞাণ জনগণের আছে, কিন্তু জনগণ যে সব বুঝে সেই বিষয়টা আমাদের নেতাদের বুঝার জ্ঞান আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আর থাকলেও তারা সাধারণ জনগণের ধুয়া তুলে নিজেদের আখের গোছাতেই বক্তব্য দিয়ে থাকে বলে মনে হয়। সরকার যা করে সবই জনগণের জন্য, বিরোধী দলেরা যা করে সব জনগণের জন্যই। এসব বক্তব্য পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরা। 

রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যে কথাই বুলক না কেন, জনগণ হিসাবে ‘জনগণের আশা আকাঙ্খা’র কিছু কথা তুলে ধরি। ১) বেশিরভাগ জনগণেরই প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরাপদ, নিরপেক্ষ, সংবিধান সম্মত নির্বাচন পাওয়া, ২) দেশে সকল রাজনৈতি দলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সুযোগ, ৩) অহিংস ভাবে সকল দলের সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেয়া, ৪) রাজনৈতিক কারনে হানাহানি-ধরপাকর বন্ধ করা, ৫) যার যার ভোট তা প্রয়োগের সুযোগ তৈরী করা, ৫) অর্থ পাচারকারী, আত্মসাতকারী, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ব্যক্তিদের ভোট না দেয়া বা তাদের বর্জন করাও জনগণের আশা আকাঙ্খার একটা বিষয়। এমন হাজারো আশা আকাঙ্খার কথা তুলে ধরা যায়। আসলে জনগণ কি চায় সেটা সরকারী কর্মকর্তারা যেমন জানেন, তেমনি জানেন সরকারী দলের কর্তাব্যক্তিরা, বিরোধী জোটের কর্তাব্যক্তিরাও। তাই জনগণের ধুয়া না তুলে নিজেদের অবস্থানটা পরিস্কার করুন। জনগণের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিন। জনগণকে বোকা ভাববেন না। 

No comments:

Post a Comment