ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Monday, May 28, 2018

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, আসুন পৃথিবীকে বাসযোগ্য করি

বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত হয়ে থাকে। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন দ্য হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট)। এই কনফারেন্স হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি। এই কনফারেন্স ওই বছরই চালু করেছিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতি বৎসর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। প্রতি বছরই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। উত্তর গোলার্ধে দিবসটি বসন্তে আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিবসটি শরতে পালিত হয়।
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন আর প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিষ্কাশনের ফলে দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এবং জলবায়ুর। যার ফলাফল স্বরূপ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ তলিয়ে যেতে পারে ভারতের পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছুটা জায়গা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ আর শ্রীলংকাসহ পৃথিবীর নিম্নভূমির দেশসমূহ। পরিবেশ রক্ষায় তথা পৃথিবী রক্ষায় আজ প্রয়োজন সচেতন উদ্যোগের। যার যত টুকু সাধ্য তত টুকু দিয়েই চেষ্টা করা দরকার পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য রাখার। আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে এমন অনেক বিষয়ই রয়েছে। যেমন-১) গাছপালা নিধন না করা আর অন্যকে নিধনে নিরুৎসাহিত করা এবং নিজে বেশি করে গাছ লাগানো আর অন্যকে গাছ লাগানোয় উৎসাহিত করা। ২) গাড়ির ক্ষতিকর/ কালো ধোঁয়া বন্ধ রাখার চেষ্ঠা করা এবং অন্যকে এ ব্যাপারে সচেতন করা। ৩) পাহাড় কাটা বন্ধ রাখা এবং এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা। ৪) ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলা এবং বর্জ্য পদার্থ যেখানে সেখানে নিস্কাশিত না করা। ৫) বাড়ির ফ্রিজটি সময় সময় সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া। এ রকম আরও অনেক বিষয় যা পরিবেশ/পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বন্ধ করা বা বন্ধ করার জন্য জনগণকে সচেতন করার শপথ নেওয়ার অনুপ্রেরণা দেয় এই দিনটি।
৫ জুন ২০১৮ বিশ্ব পরিবেশ দিবসটিকে সামনে রেখে সারা বিশ্ব নানান কর্মসূচী গ্রহণ করবে। গত বছর বাংলাদেশের স্লোগান ছিলো- “প্রকৃতির সাথে জুড়ে দিন নিজেকে/আমি আছি প্রকৃতির সাথে“। আমাদের দেশের এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় এখনও জানাযায়নি। তবে প্রতিপাদ্য বিষয় যাই হোক মূল প্রতিপাদ্য বিষয় পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সচেষ্ট হতে হবে এবং সক্রিয় হতে হবে যদি আগামী ভবিষ্যতের জন্য এই পৃথিবীকে আমরা বাসযোগ্য রাখতে চাই।
ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রিয় শরীয়তপুর জেলার পালংকে আগামীর গ্রীণ হাউজের একটি মডেল হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে পালং এর বিভিন্ন সড়ক, উন্মুক্ত স্থান, ধর্মীয় উপসানলয়, সরকারী/বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতে প্রাথমিক ভাবে পাঁচ শতাধিক ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপনের যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস পালং ও গ্রীণ ভয়েস অব পালং। প্রয়োজনীয় বৃক্ষ সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছেন ফ্রেন্ডস পালং। আর ফ্রেন্ডস পালং এর সরবরাহকৃত বৃক্ষ বিভিন্ন স্থানে রোপন করার দায়িত্ব নিয়েছে গ্রীণ ভয়েস অব পালং । এসব কাজে সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আমাদের স্থানীয় অভিভাবক বৃন্দ । তাই আমাদের আহবান, আসুন, গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই, পৃথিবীকে বাসযোগ্য করি।
আপনার সহযোগীতা কামনায়-
আসাদুজ্জামান জুয়েল
আহবায়ক, গ্রীণ ভয়েস অব পালং, শরীয়তপুর।

No comments:

Post a Comment