ভালবাসি প্রকৃতি

ভালবাসি প্রকৃতি

Wednesday, February 3, 2010

পদ্মায় বাঁশের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

>>>>>>মঙ্গলমাঝির ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিশাল বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা>>>>>>
>>>>>>মঙ্গলমাঝির ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিশাল বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা>>>>>>>

পদ্মায় বাঁশের অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার


শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ওছিমদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদীর মূল প্রবাহে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁশের ব্লক বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির খান। প্রশাসনের নিরবতায় দিনের পর দিন এভাবে মাছ ধরলেও স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। স্থানীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি জানি না। করে থাকলে ঠিক করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। মৎস কর্মকর্তাকে তুলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রবাহমান পদ্মা নদীর তীর থেকে ২০-২৫ ফুট জায়গা খালি রেখে উত্তর-দেিণ প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গা বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি ব্লক বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁশের বাঁধের সঙ্গে জাল আটকানো আছে। প্রায় ২ মাস যাবত এভাবে প্রশাসনের নিরবতায় যুবলীগ নেতা মাছ ধরছে বলে স্থানীয়রা জানায়। বাঁধের কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, মাছের অবাধ বিচরন ও নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বাঁধে কর্মরত পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের আশু মালো ও দুদু মিয়া জানান, তারা মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করেন। ইলিশ, রুই, কাতল, চিতল, পাঙাশ, বোয়ালসহ জাটকা ধরা পড়ছে এ জালে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মাছ ধরা পড়ছে।
জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম মাদবর বলেন, পদ্মায় বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেউ যদি করে থাকে তবে কাজটি ঠিক করেনি। এতে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
বাঁধের বিষয়ে কথা বলতে যুবলীগ নেতা মনির খানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ৭ দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যেই বাঁধ তুলে দেয়া হবে।
শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রবাহমান নদীতে যদি কেউ বাঁধা দিয়ে থাকে বা বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় সেটা বে-আইনি। আমরা বিষয়টি অবগত হলাম। দ্রুত অপসারন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

No comments:

Post a Comment